মো: দেলোয়ার হোসেন: গত ২৫ শে জুলাই/২০২৩ রাজশাহী সিটি ভবনের গ্রীন প্লাজায় সামাজিক বন বিভাগের আয়োজনে ২০ দিন ব্যাপি বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনীর আগে শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বর থেকে ফলদ বৃক্ষ রোপণ, ফলদ বৃক্ষ নিধন, রোপিত ফলদ বৃক্ষের যত্ন-পরিচর্যা ও ফলের পুষ্টি গুন সম্পর্কীত শ্লোগান লেখা ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন নিয়ে সহস্রাধিক বৃক্ষপ্রেমীর বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু করে সিটি ভবনের গ্রীন প্লাজায় এসে শেষ হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক জনাব শামীম আহম্মেদ এর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জনাব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জনাব বিজয় বসাক, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জনাব নরেশ চাকমা ও বগুড়া অঞ্চলের বন বিভাগের সামাজিক বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
শুরুতে সুধিবৃন্দের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়ে “গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে ধারন করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বক্তব্য প্রদান করে রাজশাহীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জনাব মো: রফিকুজ্জামান শাহ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্রকে সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষের অবদান অনস্বীকার্য। তাই বৃক্ষ রোপনের কোন বিকল্প নেই। বৃক্ষ থেকে আমরা জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন গ্রহন করে থাকি আর আমাদের ত্যাগকৃত কার্বন-ডাই-অক্সাইড বৃক্ষ গ্রহন করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই বেশী করে বৃক্ষ রোপনের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বেশী করে ফলদ বৃক্ষ রোপন করতে হবে, কারণ ফলদ বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। ঠিক তেমনি খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পুরন করে, আসবাবপত্র ও গৃহনির্মান সামগ্রী তৈরীতে অবদান রাখতে পারে। তিনি ফলদ বৃক্ষের পাশাপাশি বনজ ও ঔষধী বৃক্ষ রোপনের জন্য প্রত্যেককে অন্তত ৩ টি করে বৃক্ষের চারা সংগ্রহ করে রোপন করার অনুরোধ জানান।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, দেশী ফলে বেশী পুষ্টি গুন বিবেচনায় বেশী করে বিলুপ্ত প্রায় দেশী ফল গাছের চারা লাগানো ও নার্সারী মালিকদের চারা উৎপাদনের জন্য স্টল স্থাপনকারি নার্সারী মালিকদের অনুরোধ জানান।
২০ দিন ব্যাপী মেলায় সামাজিক বন বিভাগ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারীসহ ৬২ টি স্টল অংশ গ্রহন করে। আলোচনা শেষে উপকারভোগী ও ভুমি মালিক সংস্থার মাঝে লভ্যাংশের চেক বিতরণ ও মেলার ষ্টল পরিদর্শন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বন বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারী ছাড়াও আটশতাধিক কৃষক/ কিষাণী উপস্থিত ছিলেন।