শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শাজাহানপুরে শতবর্ষী বৃদ্ধ হামেদ আলী আকন্দ (১০১)। বাড়ি উপজেলার আমরুল ইউনিয়ন বামনদিঘী এলাকায়। হামেদ আলী ২ ছেলে ও ১ মেয়ে আছে।স্ত্রী ও ৩ সন্তান মারা গেছেন বহু বছর আগেই। আর ছেলে-মেয়েকে বিবাহ দিয়ে গড়ে দিয়েছেন আলাদা আলাদা সংসার। তবে বৃদ্ধ বয়সে অসহায় হামেদ আলী'র ২ ছেলের সংসারে আশ্রয় না হলেও নানা অসুস্থতা নিয়ে মেয়ে সংসারে করুণ অবস্থায় দিনাতিপাত করছিলেন।এর আগে হামেদ আলী বয়স্ক ভাতার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যর কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েছিলেন কিন্তু মেলেনী বয়স্ক ভাতা।
বতর্মানে উপজেলার চোপিনগর ইউনিয়নের বিরিকুল্ল্যা গ্রামে মেয়ে জামাই এর জরাজীর্ণ বাড়িতে বসবাস করেন বৃদ্ধ হামেদ আলী। মেয়ে সালেহা খাতুন স্বামী সন্তান নিয়ে অভাবের সংসারে এমনিতেই দু'বেলা খাবার জোটাতে পারে না,সেখানে আবার বৃদ্ধ বাবাকে ভরনপোষণ খরচ যোগাতে হয়। এমন অসহায়ত্ব বিষয়টি জানতে পেরেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদা খানম এই বৃদ্ধর পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
আজ ২৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলায় অসহায় হামেদ আলীকে হুইল চেয়ার ও নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদা খানম। এ সময় ইউএনও’র সঙ্গে ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস ভিপি এম সুলতান আহম্মেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেফাজত আরা মিরা, গোহাইল ইউপি চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু, চোপিনগর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান বাবলু, খরনা ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি সাজেদুর রহমান শাহীন, খোট্টাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ফারুক, আমরুল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বিমান, আড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান প্রমুখ।
হামেদ আলী'র মেয়ে সালেহা খাতুন জানায়,আমারা বাবার অর্থ সম্পদ বলতে কিছুই নেই। অন্যর জমিতে দিন মজুরী কাজ করে জীবন র্জীবিকা চালাতেন। বাবার ১০০ বছরের বেশি বয়স হয়েছে এখন আর আগের মত চলাফেরা করতে পারেন না। চোখে ছানি, এ্যাজমাসহ শরীর নানা অসুখ।আমাদের সংসারে অভাবের কারণে ঠিক মত ওষুধও কিনে দিতে পারতাম না। আজকে ইউএনও স্যার নগদ টাকা, হুইল চেয়ার ও একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিলো এখন আর ওষুধ কিনতে সমস্যা হবে না।আল্লাহ স্যারদের ভালো করুন।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম জানান,শতবর্ষী বৃদ্ধ হামেদ আলী'র পরিবারে পাশে দাঁড়াতে পেরে ভালো লাগছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় বৃদ্ধকে হুইল চেয়ার,নগদ টাকা ও বয়স্কভাতা কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে।