এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: আজ (২৪ অক্টোবর) বিশ্ব পোলিও দিবস। প্রতি বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হয়। । এ উপলক্ষে রোটারি ক্লাব অফ রাজশাহীর সেন্ট্রাল রোটারি ক্লাব অফ রাজশাহী রোটারি ক্লাব অফ রাজশাহী মেট্রোপলিটন এবং রোটারি ক্লাব রাজশাহী পদ্মার সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রাটি রাজশাহীর সাহেব বাজার আলিপট্টির মোড়ে হতে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয় ।
রোটারি বাংলাদেশ পোলিও প্লাস কমিটির তথ্যমতে, পৃথিবী থেকে পোলিও নির্মূল হলেও এখনো দুটি দেশে ১০০ শিশু পোলিও আক্রান্ত আছে। দেশে ১৯৭৯ সাল থেকে পোলিও টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। তবে পোলিও নির্মূলের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্তর্জাতিক, জাতীয়, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক টিকা দিবস ধারাবাহিকভাবে পালন শুরু হয় ১৯৯৫ সাল থেকে।
সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে রোটারি ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচি, নানা শ্রেণি ও সংগঠন এবং সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত হয় ২০০৬ সালে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক পোলিওমুক্ত বাংলাদেশের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করে ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ। কিন্তু নিকট প্রতিবেশী দুটি দেশ এখনও পোলিও মুক্ত না হওয়ায় পুনরায় পোলিও সংক্রমণের ঝুঁকি আছে। তাই দেশেও পোলিও প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান আছে।
রোটারি ক্লাব অফ রাজশাহী সেন্ট্রাল এর প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান ডক্টর মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ, ইমিডিয়েট পাস প্রেসিডেন্ট হাসিবুল হাসান নান্নু ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান, নূরে আলম খান পাপ্পু, রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল হক, এবং অন্যান্য ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সদস্যদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা শেষে জিরো পয়েন্টে এক আলোচনা সভায় দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় এবং রোটারি ইন্টারন্যাশনাল এর কন্ট্রিবিউশন এবং সম্মিলিতভাবে সকল ক্লাবের করণীয় বিষয়ে বক্তারা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ২৪ অক্টোবর পোলিওমাইলাইটিসের টিকা আবিষ্কারক জোনাস সালকের জন্মবার্ষিকী স্মরণে এ দিবস পালন করা হয়ে থাকে। সারাবিশ্বে এক সময়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল পোলিওমায়েলাইটিস বা পোলিও রোগ। টিকা আবিষ্কার হওয়ার ফলে বেঁচে যায় বহু প্রজন্ম। তবে এখনো কোথাও কোথাও এই রোগটি রয়ে গেছে। সাধারণত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আরোগ্য লাভের সুযোগ নেই। আক্রান্ত হওয়ার অনেক লক্ষণের মধ্যে গুরুতর লক্ষণ হলো- জ্বর, শ্বাসকষ্ট শেষে পক্ষাঘাত বা পঙ্গুত্ব। আক্রান্তের হার বেশি হলে নানা জটিলতাসহ মৃত্যুও হয় এই রোগে।