মোঃ গোলাম আরিফ: উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গুণগত মানসম্পন্ন বীজের বিকল্প নেই। এক সময় স্থানীয় জাতের বীজ চাষ করে সাড়ে সাত কোটি মানুষ ঠিকমত খেতে পারতো না। মানসম্পন্ন বীজ চাষ করার ফলেই আজ ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি। কাজেই উৎপাদন বৃদ্ধিতে উন্নতমানের বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণের গুরুত্ব অপরিসীম।
আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালা ২০২৩-২৪ ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার, বনানী, বগুড়ায় ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন, কৃষিবিদ মোঃ রেজাউল করিম, পরিচালক, পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা।
প্রদর্শনীভুক্ত চাষীদের উল্লেখ করে প্রধান অতিথি আরো বলেন, শুধুমাত্র বীজ উৎপাদন করলেই চলবে না। নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে অন্যান্য চাষীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। নতুন, আধুনিক ও পুষ্টিমান সমৃদ্ধ উচ্চ ফলনশীল ফসল চাষ করে দেশের কৃষিকে আরো এগিয়ে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন কৃষিবিদ মোঃ শফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ, এটিআই, গাইবান্ধা ও কৃষিবিদ ড. মোঃ রুহুল আমিন, আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহী।
কৃষিবিদ মোছাঃ শায়লা আফরোজ সেতু, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, শিবগঞ্জ, বগুড়া’র সঞ্চালনায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য, কার্যক্রম এবং কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে কিনোট উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলায় প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত বিগত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং চলতি অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।
কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চলের জেলা/উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, এসসিএ, ব্রি, বিনা, বিএডিসি, কৃষি তথ্য সার্ভিস, হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রদর্শনীভুক্ত কৃষক-কৃষানীসহ ১০০ জন অংশগ্রহন করেন।