এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন- এর অর্থায়নে রাজশাহীতে ভেড়া খামারিদের প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়- এর নারকেলবাড়িয়া ক্যাম্পাসে ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের একদল গবেষকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত 'বরেন্দ্র অঞ্চলে ভেড়া উৎপাদনের জন্য ক্ষুদ্র পরিসরে ভেড়ার মডেল খামার সম্প্রসারণ' প্রকল্পের দুই দিনব্যাপী দুইটি ব্যাচে প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণ আজ বুধবার ( ১৭ জানুয়ারি) বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ ড. নাথুরাম সরকার। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন 'আপ স্কেলিং অফ ইস্মল স্কেল শিপ রিয়ারিং মডেল ফর ল্যাম্ব প্রোডাকশন ইন বারিন্দ এরিয়া প্রকল্পের কো ইনভেস্টিগেটর প্রফেসর ড. মো. আকতারুল ইসলাম এবং রোটারিয়ান ড. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ।
রাজশাহী অঞ্চলে প্রায় ৪০ জন খামারিকে দুই ভাগে ১৪ ও ১৫ এবং ১৬-১৭ই জানুয়ারি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিপূর্বে 'ভেলিডেশন অফ গুড প্র্যাকটিসেস অফ অন ফার্ম প্রোডাকশন সিস্টেম প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্ভাবিত টেকনোলজি মডেল, বিশেষ করে পাঁচটি করে ভেড়া একেক জন খামারির মাঝে লালন-পালনের ফলে বিক্রি করে আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নে ফলপ্রসু রেজাল্ট পাওয়া যায়। এটি নতুনভাবে আরো ৪০ টি খামারে পাঁচটি করে ভেড়ার মডেলটি ছড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পূর্ববতী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজশাহী সহ সারা বাংলাদেশে ল্যাম্ব মিটের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়, ফলে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য উৎপাদন জরুরী হয়ে পড়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আপ স্কেলিং এর জন্য এই প্রকল্পে অর্থ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডক্টর সরকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বরেন্দ্র অঞ্চলের নারীরা যেমন আত্মকর্মকর্মী হবে, ঠিক সেইভাবে তাদের ক্ষমতায়নের ব্যাপারেও এটি ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি অনুধাবন করেন যে অলরেডি এই প্রকল্পের গৃহীত কর্মের ফলে এই অঞ্চলে ভেড়া পালনের যেমন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, আবার ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছে বলে তিনি অভিহিত করেন।