মোঃ গোলাম আরিফ: দেশে প্রায় ১ হাজার ৫শত এর মতো কীটনাশক কোম্পানি রয়েছে। ভেজাল বালাইনাশক ও ভুল পরামর্শ দিয়ে কৃষকের উৎপাদিত ফসল কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না। সঠিকভাবে রোগ, পোকামাকড় ও কৃমির আক্রমণ নিশ্চিত হয়ে অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহারে কৃষি কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।
নোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা এর আয়োজনে জেলা বালাইনাশক ভিজিল্যান্স কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, পাবনা-এর উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দীন এসব কথা বলেন।
খামারবাড়িস্থ প্রশিক্ষণ হলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতি আরো বলেন, ভেজাল বালাইনাশক ও কোম্পানি কৃষি সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য ক্ষতির কারণ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভেজাল কোম্পানির অনুমোদিতহীন বালাইনাশক চিহ্নিত করে বাজার থেকে বাতিল করতে হবে। নতুন পণ্যের কার্যকারিতা মাঠে নির্ধারিত ফসলে প্রদর্শণীর মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল কৃষি বিভাগকে অবহিত করতে আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা বলেন, সরকার অনুমোদিত বালাইনাশক লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীকে কোম্পানির ডিলার নির্বাচন ও নবায়নে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোম্পানির প্রতিনিধি কখনোই প্রেসক্রিপশন করতে পারবে না কিংবা ব্যবসায়িক স্বার্থে মাইকে উচ্চস্বরে প্রচারনা বা জনমত সৃষ্টি করতে পারবে না। এছাড়াও সভায় পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের বালাইনাশক সম্পর্কিত প্রাথমিক প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মোঃ রোকনুজ্জামান, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কৃষিবিদ ড. মোঃ আব্দুল মজিদ, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ মোঃ নুরে আলম।
উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা, সুজানগর, পাবনা মোঃ আলমগীর হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনা’র জেলা/ উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস এর সহকারী তথ্য অফিসার, কীটনাশক ডিলার প্রতিনিধি, পাবনা জেলায় কর্মরত সকল বালাইনাশক কোম্পানির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।