মাছের ভ্যালু অ্যাডেড পণ্য উৎপাদনে অধিক মনোযোগী হতে হবে: ড. এফ এইচ আনসারী

রাজধানী প্রতিনিধি: 'আমাদের Ready to eat, Ready to cook এই ধরণের পণ্য উৎপাদন করতে হবে। ভেল্যু এডেড প্রোডাক্ট যেমন ফিশ ফিংঙ্গার, ফিশ চিপস, ফিশ বল, ফিশ সস, ফিশ সুপ, ফিশ নুডলস ইত্যাদি তৈরির সাথে সাথে মানুষের কাছে এই প্রোডাক্টগুলো উপস্থাপন করতে হবে। দেশে ও দেশের বাহিরে সমানভাবে বিভিন্ন স্ট্রিট ফুড সপ, রেস্টুরেন্ট সহ ভোক্তার প্লেটে এই ভেল্যু এডেড প্রোডাক্টগুলোর চাহিদা বাড়াতে হবে। আর এ ধরণের ভেল্যু এডেড পণ্যগুলো বিদেশেও প্রচুর চাহিদা আছে। এটি করতে পারলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে বাংলাদেশ। আর এক্ষেত্রে উৎপাদনকারী ও গবেষকদের সাথে এসসাথে কাজ করতে চায় এসিআই।'

ফিশারিজ সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এফএসবি) এর আয়োজনে দিনব্যাপী তরুণ মৎস্য বিজ্ঞানী সম্মেলনে গবেষকদের উদ্দেশ্যে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসিআই এগ্রিবিজনেসেস-এর প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী এসব কথা বলেন। শনিবার (১১ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ড. আনসারী বলেন, 'বিশ্ববাজারে হোয়াইট ম্যাসল পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়ার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। আদর্শ পুকুর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দূর্গন্ধ মুক্ত তেলাপিয়া উৎপাদনে ও হোয়াইট ম্যাসল পাঙ্গাশ উৎপাদনে গুরুত্ব দিতে হবে। কিভাবে ফিস ফিড-এর এফসিআর উন্নত করা যায়, কিভাবে গুণগত মাছ ও চিংড়ি উৎপাদন করা যায়, কিভাবে নদী কিংবা সমুদ্রের মোহনায় খাঁচায় মাছ ও কাঁকড়া চাষ করা যায় এবং কিভাবে লাভবান করা যায় তার জন্যে লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে তার যথাযথ সম্প্রসারণ নিশ্চিত করতে হবে।'

চিংড়ির চাষ ও বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা নিয়ে ড. আনসারী বলেন, 'চিংড়ির ক্ষেত্রে Farming কে কিভাবে Semi-intensive থেকে Intensive এবং Intensive থেকে Highly intensive করা যায় এবং পাশাপাশি ভেনামি চিংড়ি এর চাষ সম্প্রসারণ বিষয়ে সকলকে উৎসাহিত করতে হবে। এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ বিশেষ করে ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডের লবণ খামারে, আর্টিমিয়া সিস্ট এবং বায়োমাস উৎপাদনের নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে সফলতা লাভ করেছে। সেই আলোকে আটিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পের সফল প্রয়োগের মাধ্যমে লবণ চাষিদের পারিবারিক আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সমুদ্র অর্থনীতিতে আমরা আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাইভেট সেক্টর একত্রে কাজ করার আহবান জানান তিনি।'

সম্মেলনে ফিশারিজ সোসাইটি অব বাংলাদেশের (এফএসবি) সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. সাদিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালেয়র উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আবুল মনসুর। অনুষ্ঠানে এফএসবির কর্মকান্ড নিয়ে সার্বিক বক্তব্য দেন ড. এম এ মজিদ।

সম্মেলনে সারাদেশ থেকে প্রায় শতাধিক তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষক এতে অংশ নেন।