সিলেটের পোল্ট্রি শিল্পের অন্ত:প্রাণ তরুন ইমরান হোসাইন

এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: উন্নত বিশ্বের ব্যবসায়িক কনসেপ্ট সম্পর্কে জানতেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ পাশ করা ইমরান হোসাইন। তাইতো তাদের মত করে শুরুতে কৃষিতে পা দেন তিনি। কৃষির পোল্ট্রি সেক্টরের সাথে শুরু করেন পথচলা। উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যবসার প্রতি তার ছোট থেকে ঝোঁক ছিল ওয়েষ্টার পোল্ট্রি এন্ড ফিসারিজ লি:-এর ইমরানের। পোল্ট্রি সেক্টরের উৎপাদনের সাথে জড়িত থেকে প্রতিনিয়তই তাকে চ্যালেঞ্জর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আসন্ন ১২ তম আন্তজার্তিক পোল্ট্রি শো ও সেমিনারকে কেন্দ্র করে আয়োজকসহ এ সেক্টরের নীতি নির্ধারকদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

এগ্রিলাইফের এ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলে ইমরান জানান এ আয়োজনটি তাদের জন্য একটি যুগান্তকারী আয়োজন হতে যাচ্ছে। যেখানে তার মত অনেকেই তাদের সমস্যা, সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারবেন। পৃথিবীতে যত উন্নত দেশ আছে তারা শুরুতেই এগ্রি সেক্টরকে বেছে নিয়েছিল এর পরে তারা ধীরে ধীরে শিল্পের দিকে ধাবিত হয়েছে হয়েছে। মূলত কোন একটি অঞ্চলকে বা দেশকে উন্নত করতে চাইলে তার কৃষিতেই শুরুতে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত তবে দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের সিলেট অঞ্চলে কৃষির পোল্ট্রি সেক্টরটি চরম অবহেলিত।

বর্তমানে তার খামারে প্রায় মুরগী আছে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার। পোল্ট্রিতে পিছিয়ে পড়া সিলেটের বিমানবন্দর থানার লাউগুলে তার এ খামার। কেবলমাত্র যেখানে সিলেটে সিটি কর্পোরেশ এলাকায় প্রতিদিন ৯ লাখ ডিমের চাহিদা সেখানে তার জেলায় উৎপাদন হয় মাত্র ২ লাখ। অর্থাৎ কেবল ডিমের ক্ষেত্রেই ঘাটতি রয়ে যায় ৭ লাখ। এ ঘাটতি পূরণ করা হয় অন্য জেলা থেকে আমদানীর মাধ্যমে। বিভিন্ন সমস্যা, আইনি জটিলতা, শ্রমিক সমস্যাসহ বিভিন্ন কারণে এ জেলায় বৃহৎ পরিসরে পোল্ট্রি শিল্পের উৎপাদন করা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি। তারপরেও ব্যক্তি উদ্যোগে তরুণ বয়স থেকেই তিনি লেগে আছেন এ শিল্পের সাথে। এ শিল্পের সাথে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এ শিল্পে টিকে থাকায় দায় হয়েছে তার। পোল্ট্রি খাদ্যের দামকেই সবচেয়ে বড় সমস্যার কথা জানান এগ্রিলাইফের সাথে আলাপ চারিতায়। তিনি মনে করেন, ফিডের দাম কমানো গেলেই এই খাত আলোর মুখ দেখবে। সাথে সাথে বাড়ানোর কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোল্ট্রি গবেষণা ও পাঠ পর্যায়ে তার বিস্তার।

পোল্ট্রি শিল্পকে এগিয়ে নিতে ১২ তম আন্তজার্তিক পোল্ট্রি শো ও সেমিনারের মাধ্যমে পোল্ট্রি উদ্যোক্তরা উৎসাহ পাবে এমনটাই মনে করেন ইমরান হোসাইন। তিনি মেলাটির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।