এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: দেশব্যাপি চলছে অস্বাভাবিক ধরনের দাবদাহ। এর কবলে গবাদি প্রাণীর খামারে পালিত প্রাণিগুলি খুব কষ্ট পাচ্ছে। দিন দিন দেশব্যাপী তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। এই তাপদাহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও দায়ী বলে মনে করেন গবেষকরা। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আগামী বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা নাই। গ্রীষ্মকালে গবাদি প্রাণীর ফার্মে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে :
★গবাদি প্রাণির ঘর শীতল রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে শেডের চালের উপরে চটের বস্তা বিছিয়ে নিয়মিত বিরতিতে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
★ গবাদি প্রাণির থাকার স্থানে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সিলিং ফ্যানের পরিবর্তে স্ট্যান্ড ফ্যান দিতে হবে। যা ভেতরের গরম বাতাস কে বাহিরে বের করে দিতে বেশি কার্যকরী।
★ তীব্র গরমে দিনে গবাদি প্রাণিকে কম পরিমাণে দানাদার খাদ্য দিতে হবে এবং এসময় সবুজ ঘাস তথা কাঁচা ঘাস বেশি পরিমাণে খাওয়াতে হবে।
★ গবাদি প্রাণিকে যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। বেলা ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত আবদ্ধ ঘরে বা খোলা মাঠে গবাদি প্রাণি না রেখে গাছের নীচে অথবা ছায়াযুক্ত শুকনাস্থানে রাখুন।
★ গবাদি প্রাণিকে ঘন ঘন ফ্রেশ পানি পান করাতে হবে। পানির সাথে ‘স্যালাইন’ ও ‘ভিটামিন সি’ মিশ্রিত করে দিতে হবে।
★ তীব্র গরমে গবাদি প্রাণিকে দুপুর বেলা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শরীর ভিজিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে দিনে একাধিকবার পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে।
★ গরম থেকে গবাদি প্রাণিকে রক্ষা করার জন্য ছায়াযুক্ত ক্ষেতে চরানো প্রয়োজন।
★ গরম থেকে গবাদি প্রাণিকে রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
★ গবাদি প্রাণিকে শুকনো খাদ্য খাওানোর পর পর্যাপ্ত পানি খাওয়াতে হবে। এতে গবাদি প্রাণির শরীর ঠাণ্ডা থাকবে।
প্রচন্ড গরমে পারতপক্ষে গবাদি প্রাণিকে কৃমিনাশক এবং টিকা প্রদান করা যাবে না। এসময় গবাদি প্রাণিকে পরিবহণ করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
সৌজন্যে-নারিশ কাস্টমার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট