প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত ফিশারিজ গ্রাজুয়েটদের প্রানের সংগঠন BFEA

রাজধানী প্রতিনিধি: প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত ফিশারিজ গ্রাজুয়েটদের প্রানের সংগঠন বাংলা‌দেশ ফিশারিজ এক্সিকিউটিভ এসো‌সি‌য়েশন (BFEA) ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে। সারা দেশে তাদের সংগঠনের প্রায় ৫০০ জন সদস্য বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন। এসব সদস্যদের নিয়ে তারা সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। মাছ চাষ থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন প্রযুক্তির সম্প্রসারণে সরকারের পাশাপাশি তার মাঠ পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছেন।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরাস্থ দি গ্রেট ইটা‌রি রেস্টু‌রে‌ন্টে বাংলা‌দেশ ফিশারিজ এক্সিকিউটিভ এসো‌সি‌য়েশন (BFEA) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলা‌দেশ ফিশারীজ এক্সি‌কিউ‌টিভ এসো‌সি‌য়েশন (বিএফইএ) এর আহ্বায়ক কৃষিবিদ মাহবুবুল আলম খান শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এর সাবেক মহাপরিচালক ড. গোলাম হোসাইন। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব কৃষিবিদ মিজানুর রহমান, কৃষিবিদ রনজিৎ দেবনাথ, মো. শাহীনুর আলম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ইতিমধ্যে তারা এগারোটি আঞ্চলিক কমিটি করেছেন আরো চারটি আঞ্চলিক কমিটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঈদের পরেই তারা কেন্দ্রীয়ভাবে একটি বৃহৎ আকারের পুনর্মিলনী আয়োজনের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।

তারা বলেন, বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টর একটি বৃহৎ সেক্টর এখানে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ আছে যা দেশের আপামর জনসাধারণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। আমাদের অনেক রিসোর্স রয়েছে, রয়েছে খ্যাতিমান মৎস্য বিজ্ঞানী যারা সেক্টরের জন্য অন্ত:প্রাণ। মাঠপর্যায়ে দক্ষ জনবল ও উদ্যোক্তা তৈরির নানা রকম কার্যক্রম তারা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মাছে-ভাতে বাঙালির ঐতিহ্যটিকে ফিরিয়ে আনতে তারা বদ্ধ পরিকর। মৎস্য সেক্টরের উন্নয়নে প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত ফিসারিজ গ্রাজুয়েটদের প্রাণের সংগঠন বাংলা‌দেশ ফিশারিজ এক্সিকিউটিভ এসো‌সি‌য়েশন (BFEA) একটি কার্যকর অবদান রাখতে পারে বলে মনে করেন বক্তারা।

বক্তারা আরো বলেন, এই সেক্টরে যারা কাজ করেন তারা অনেক সময় নানা রকম অসুবিধা সম্মুখীন হন। তাদের হয়ে কথা বলার কেউ থাকেনা এই সংগঠনটি তাদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে পারে বলে মনে করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। একটি প্লাটফর্মের মাধ্যমে কর্মরতদের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো যদি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নীতি-নির্ধারণের মাঝে তুলে ধরা হয় তাহলে সংগঠনের সদস্যরা যেমন উপকৃত হবে মৎস্য সেক্টর এমন উপকৃত হবে।

সকলেই আশা করেন মৎসাবিদদের কার্যকর অবদানে ফিশারী সেক্টরে একটি সুন্দর অবস্থা তৈরি হবে। মৎস্য খামারিয়া যেমন ন্যায্য মূল্য পাবে ভোক্তারা নিরাপদ মাছের স্বাদ গ্রহণ করে প্রাণীজ পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারবে। তারা সংগঠনের সাফল্য কামনা করেন।