এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগের উদ্যোগে ব্রি উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধান ব্রি ধান৮৯, ৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান১০০ এর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস আজ সোমবার বিকেলে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই তিন জাতের নতুন ধান চাষ করে কৃষকরা অভূতপূর্ব ফলন পেয়েছেন। ৩৩ শতকে ফলন পেয়েছেন ৩৩ মন অর্থাৎ শতকে এক মন ফলন হয়েছে।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে পরিচালক প্রশাসন ড. মোঃ আব্দুল লতিফ। রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগের প্রধান ড. মোঃ ইব্রাহীম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ব্রি বিজ্ঞানী সমিতির সভাপতি ড. আমিনা খাতুন ও কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম। ব্রির রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগের সিনিয়র বিজ্ঞানী ড. খায়রুল কায়েস, এবিএম জামিউল ইসলাম ও বীর জাহাঙ্গীর সিরাজী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্রির পরিচালক প্রশাসন ড. মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত নতুন জাতগুলো ফলন আগের জনপ্রিয় জাত ব্রি ধান২৮ ও ২৯ এর তুলনায় অনেক বেশি। এগুলো যদি ভালো পরিচর্যা করা যায় তাহলে আরো বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব। সুতরাং এখন পুরনো জাতগুলো বাদ দিয়ে নতুন জাতের ধান ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান১০০ চাষ করতে হবে।
প্রধান অতিথি ব্রি মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর বলেন, প্রতি বছর আমাদের জনসংখ্যার সাথে ২০-২২লক্ষ লোক যোগ হচ্ছে।১৭ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে খাবারের নিশ্চয়তা দিতে হলে অবশ্যই ব্রি উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধানগুলো চাষ করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
প্রবাসী কৃষক জনাব আলতাফ হোসেন জানান, আগে বিদেশ ছিলাম কৃষি কাজ করতাম না। কৃষি কাজ অলাভজনক ভাবতাম কিন্তু ব্রি ধান৮৯ ও ব্রি ধান৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান১০০ আমার ধারণা বদলে দিয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর বিদেশ নয় আমি দেশেই কৃষি কাজ করবো। নতুন জাতের ধান চাষ করবো। কেননা কৃষি এখন আগের তুলনায় বেশি লাভজনক।