মো.জলফিকার আলী: বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বীজ বিপণন) সিলেট অঞ্চল এর আয়োজনে “বিএডিসি’র সবজি বীজ বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে হাইব্রিড সবজি বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বিতরণ কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প” এর বাস্তবায়নে আজ শনিবার (০৩ জুন ২০২৩) দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আজমতপুর গ্রামে বারি হাইব্রিড করলা-২ ও ৩ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এ মাঠ দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য হলো- হাইব্রিড বারি করলার জাত পরিচিত ,জীবনকাল ও চাষাবাদ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা।
উক্ত মাঠ দিবসে কৃষিবিদ কবিরুল হাসান, প্রকল্প পরিচারক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-কৃষিবিদ মো.মোশাররফ হোসেন খান, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল, সিলেট। তিনি অনুষ্ঠানের শুরুতেই সকল কৃষকদের নিয়ে বারি হাইব্রিড করলা-২ ও ৩ সবজি ফসলের মাঠ পরিদর্শন করেন এবং চাষভূক্ত কৃষক আব্দুল্লা ও নৃপেন্দ্র নাথের নিকট জানতে চান যে হাইব্রিড সবজি উৎপাদনে কোন সমস্য হচ্ছে কি না। আর ১০ শতাংশ জমি চাষ করতে কত টাকা খরচ করেছেন এবং কত টাকার করলা বিক্রয় হয়েছে এবং পববর্তীতে বিক্রয় করবেন।
তিনি বক্তব্যে বলেন, সিলেট অঞ্চলে পতিতি জমিতে আধুনিক চাষাবাদ প্রযুক্তি ও উচ্চ ফলনশীলজাত সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগসহ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। গ্রীম্মকালীন বারি হাইব্রিড করলা, টমেটো, ঝিঞা- চিচিঙ্গা জাতের সবজি উৎপাদন মাধ্যমে দেশের ও নিজের পুষ্টি চাহিদাপূরণ করা সম্ভব। করলা সারা বছর পাওয়া যায়। করলা খেলে ডায়াবেটিক, বাতের ব্যাথা, কৃমিনাশক, কফনাশক ও পিত্তনাশক রোগের জন্য মানবদেহে উপকার হয়। তিনি উপস্থিত সবাইকে বেশি করে সবজি খাওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন- ড.মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, সিলেট; সিলেট অঞ্চল, তিনি বলেন-বারি উদ্ভাবিত শীতাকালীন ও গ্রীম্মকালীন বিভিন্ন ফসলে জাত করলা, টমেটোর পরিচিতি ও পুষ্ঠিগুণ- সম্পর্কে জানতে হলে কৃষক মাঠ দিবসের বিকল্প নেই, বিভিন্ন ফসলের পোকামাকড় দমনে পরিবেশ বান্ধব জৈবিক পদ্ধতি "হলুদ ফাঁদ ও সেক্স ফেরোমন ফাঁদ" ব্যবহার নিরাপদ ফসল উৎপাদন করতে হবে।
কৃষিবিদ সুপ্রিয় পাল, উপপরিচালক (বীজ বিতরণ বিভাগ) বলেন-সিলেট অঞ্চলে কৃষক পর্যায়ে হাইব্রিড জাতসমূহ সম্প্রসারণ করার জন্য বিএডিসি কর্তৃক বিভিন্ন ফসলের প্রদর্শনীর স্থাপনের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ হচ্ছে এবং বীজ সংগ্রহের পর ফসল বিক্রয় করে কৃষক লাভবান হচ্ছে।
কৃষিবিদ কবিরুল হাসান, প্রকল্প পরিচারক সমাপনী বক্তব্যে বলেন, “এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা বাস্তবায়নে সিলেট অঞ্চলে পতিত জমিতে মৌসুম ভিত্তিক শাক-সবজি ও অন্যন্য ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।
উক্ত মাঠ দিবসে স্থানীয় কৃষক, গণ্যমান্য ব্যাক্তিও গণমাধ্যমের সংবাদিকসহ প্রায় ১৫০ উপস্থিত ছিলেন।