এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: দেশের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জেরদারকরণ প্রকল্প’ এর অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ (১০ জুন) রাজধানীর খামরাবাড়ির আ.কা.মু. গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটরিয়ামে এ কর্মশালার আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। তিনি বলেন, আমাদের এখন প্রায় ১৭ কোটি মানুষ। দিন দিন আবাদি জমির পরিমান কমে যাচ্ছে। বর্তমানে ৮০-৮৫ লাখ হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। এ জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার আমাদের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উক্তি ‘দেশে এক ইঞ্চি জমি অনাবাদি থাকবে না’। এ কথাটার অনেক গভীরতা আছে। আমাদেরকে বিভিন্ন আধুনিক প্রযক্তির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টির বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এজন্য যার যার অবস্থান থেকে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এর নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ, ডিএই’র পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইংয়ের পরিচালক মো. রেজাউল করিম, প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদিন, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়। প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন প্রকল্প পরিচালক মো. বনি আমিন।
কর্মশালায় জানানো হয়, দেশের ৪৯ জেলার ১৫৫ উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা ৭২ হাজার টাকা। ২০২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে লীড এজেন্সী হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সহযোগী সংস্থা হিসেবে থাকবে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)।
প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপনায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান শস্য বিন্যাস পরিবর্তন ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদনশীলতা বর্তমান অবস্থা থেকে ৮-১০% বৃদ্ধি করা, ১৩ হাজার ৭১৮টি বিভিন্ন ফসলের প্রদর্শনী স্থাপন, ১৫৫টি পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ ফসল গ্রাম সৃজন, ৩ লাখ ৮ হাজার ৬১৮টি কৃষক পরিবারের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন, ৩৭ হাজার ২০০ জন কৃষক-কৃষাণির আয়বর্ধন কাজে সম্পৃক্তকরণ, ৬ হাজার ৩৬০ ব্যাচ কৃষক, কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ ও বারটানের আঞ্চলিক কার্যালয়ে ৭টি মিনি নিউট্রিশন ল্যাব স্থাপন করা হবে। এছাড়াও প্রকল্পের পটভূমিতে বলা হয়েছে, দেশের চর, হাওর, আদিবাসি অধ্যুষিত এলাকার খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটানো, ডাইভারসিফাইড শস্য উৎপাদন, উন্নত কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রভৃতি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের এ অবহিতকরণ কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বারটানের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ২শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন।