রাজধানী প্রতিনিথি: এবারের গাবতলীর গরুর হাটে এখন সর্বোচ্চ ওজনধারী গরুটির নাম টাঙ্গাইলের "সম্রাট"। ৩ বছর ১০মাস বয়সী ৬ দাঁতের ষাঁড়টির লাইভওয়েট ১৫৬৫ কেজি। হলেস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের এই খামারি নিজের গোয়ালেই পালন করেন এই ষাঁড়টি। বাংলাদেশের স্বনামধন্য কোম্পানি এসিআই এনিমেল জেনেটিএক্স-এর সিমেন দ্বারা উৎপাদিত এ ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় গাবতলীর সকল ষাঁড় গুলোর ভিতরে সব থেকে বড় ষাঁড় বলে দাবি করেছেন খামারী খামারি আব্দুস সামাদ।
খামারি আব্দুস সামাদ বলেন, নিজের খামারে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য খাইয়ে এই গরুটি লালন পালন করেছেন তিনি। তাঁর এর স্বপ্ন তিনি এই গরুটি ১৫ লক্ষ টাকা হলে তিনি ছেড়ে দিবেন। বিক্রয়ের টাকা দিয়ে আগামী হজ মৌসুমে তার সহধর্মিনী কে নিয়ে পবিত্র হজ্ব পালন করা নিয়্যত করেছেন তিনি।গাবতলীর হাটে গতকাল ২৫ শে জুন এই ষাঁড়টি আনা হলে হাটে প্রচুর লোক ও টিভি মিডিয়া হাজির হয় ষাঁড়টি এক নজর দেখতে। টাঙ্গাইল এলাকায় এটার দাম একজন ৯ লাখ বলেছে বলে জানান তিনি।
আজ ২৬ জুন বিকেলে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স টিম এই ষাঁড়টি পরিদর্শনে যান এসময় এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স এর বিজনেস ডাইরেক্টর জনাব মোজাফফর উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের গবাদি পশুর জাত উন্নয়নে এসিআই সিমেন এক বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত টাঙ্গাইলের সম্রাট। তিনি আরো বলেন এসিআই সিমেন দ্বারা উৎপাদিত বাংলাদেশে এবছর প্রায় পঞ্চাশ হাজারের অধিক ষাঁড় প্রস্তুত রয়েছে বিক্রয়ের জন্য।
এনিমেল জেনেটিকসের মার্কেটিং ম্যানেজার মনিরুজ্জামান গরুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে বলেন,এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে হৃষ্টপুষ্ট করা ষাঁড়। এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন এসিআই এনিমেল জেনেটিকসের প্রোডাক্ট এক্সিকিউটিভ কৃষিবিদ তুখলিফুল মিয়াদসহ আরো অনেকে।