এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে কাঁঠালের বাণিজ্যিক পরিধিকে আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এ লক্ষে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক উদ্ভাবিত বারোমাসি কাঁঠালের জাত কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের কাজ করছেন দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা।
কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) বারোমাসি কাঠাঁলের জাত উদ্ভাবন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ‘কাঁঠাল উৎপাদনে আধুনিক কলাকৌশল’ এর ওপর কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কৃষি বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য তুলে ধরেন।
আজ রবিবার (৯ জুলাই) সকালে রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার রুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ফল বিভাগ উদ্যানতত্ত্ব বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে ৩০ জন ফল চাষী সহ ৫০ এতে অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম ফয়সাল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ও ফল বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান। বক্তব্য দেন উদ্যানত্বত্ত গবেষণা কেন্দ্র গাজীপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম ও রামগড় উপজেলা সম্প্রসারণ কৃষি কর্মকর্তা রাশেদ চৌধুরী।
প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে সারাবছর অধিক পরিমাণে মানসম্পন্ন কাঁঠাল পাওয়া যাবে এবং চাহিদা মোতাবেক প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য একই সাথে অধিক পরিমাণ কাঁঠাল সহজলভ্য হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে কাঁঠালের উৎপাদন যেমন বাড়বে, পাশাপাশি দেশের জনগণের পুষ্টিচাহিদা পুরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করেন কৃষি বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারনবিদরা।