“ আমি ৫০ দিনে প্রায় দুই শত পেকিং হাঁস পালন করে প্রায় ৪৫,০০০ টাকার মত আয় করেছি” কথাগুলো তৃপ্তির সাথে বলছিলেন মো. আমজাদ, আরএমটি-ডিএসকে প্রকল্প সদস্য ডিএসকে মোহনগঞ্জ নেত্রকোনা
এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: আমজাদ, মাঘান, মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা এর একজন বাসিন্দা। অল্প আয়ে তার পরিবারের ৬ সদস্যের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পরে। সে তার সংসার এর ব্যয় নির্বাহ করার জন্য বিকল্প আয়ের চিন্তা ভাবনা করছি। ঠিক সে সময় আরএমটি- ডিএসকে তাকে মাংসের জন্য পেকিং হাঁস পালার ব্যাপারে উৎসাহিত করে।
যেহেতু এই হাঁস আবদ্ধ অবস্থায় পালা যায় তাই তিনি কিছু টাকা যোগাড় করে প্রায় ২০০ পেকিং হাঁসের একদিনের বাচ্চা কিনে। আর এম টি প্রকল্প তাকে ২৫০০.০০ অনুদান দেয় এবং এই হাঁস পালার ব্যাপারে বিভিন্ন কারিগরি পরামর্শ প্রদান করে। আমজাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা অতি যত্নে হাঁস গুলো পালন করতে থাকে। দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় হাঁস গুলো ৫০ দিনে প্রায় ৩ বা ৩ কেজির কাছাকাছি চলে আসে।
আমজাদ ২২০.০০ কেজি দরে প্রায় ১৮০ পিস হাঁস ১,১৮,৮০০.০০ টাকায় বিক্রি করে ঢাকার এক পাইকারের কাছে। ২০০ হাঁস কিনতে তার খরচ হয়েছে ২০,০০০.০০ এবং প্রতিটি হাঁস গড়ে ৩০০.০০ খাবার হিসাবে মোট ৫৪০০০.০০ টাকার খাবার গ্রহন করে। মোট তার খরচ হয় ৭৪,০০০.০০ আর বিক্রি করে ১,১৮,৮০০ টাকা। তার নীট লাভ হয় ৪৪,৮০০ টাকা।
“আমাকে সুন্দর পরামর্শ দেয়ার জন্য ডিএসকে এবং আরএ টি প্রকল্পকে অসংখ্যা ধন্যবাদ” বলেন মো আমজাদ। “পেকিং হাঁস একটি নতুন ধরনের হাঁস যা মাংসের জন্য খুব ভাল। এর আগে আমরা এই জাতের হাঁস পালন করিনি। প্রকল্প হতে আমাকে এই হাসের ধারনা ও প্রশিক্ষন দেয়া হয়। আমি এই হাঁস পেলে লাভবান হয়েছি। আমি আবার পেকিং হাঁস পালন করব”