রাজশাহীতে “আলু চাষীদের উপযুক্ত মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে মডেল ঘরের গুরুত্ব” শীর্ষক আঞ্চলিক ওয়ার্কশপ-২০২৩ অনুষ্ঠিত

মোঃ আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি: ১৯-১০-২০২৩ তারিথে রাজশাহীর আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে “আলু চাষীদের উপযুক্ত মূল্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে মডেল ঘরের গুরুত্ব” শীর্ষক আঞ্চলিক ওয়ার্কশপ-২০২৩ এবং আলু প্রক্রিয়াজাতকারী উদ্যোক্তাগণের যন্ত্রপাতি বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর-এর আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মাসুদ করিম, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ঢাকা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোজদান হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপপসচিব জনাব আসমা নাসরিন এবং বিএডিসি’র উপপরিচালক কেএম গোলাম সরোয়ার।

অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন জনাব মোসা. তাছলিমা খাতুন, উপপরিচালক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, রাজশাহী। কি নোট উপস্থাপন করেন, আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব আনোয়ারুল হক।

অনুষ্ঠানটিতে আলু সংরক্ষণের মডেল ঘর পরিচলনার সাথে সংশ্লিষ্ট কৃষক, কৃষি বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ছাড়াও আলু রপ্তানিকারক এবং রেস্টুরেন্ট পরিচলনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি বর্গ সহ প্রায় ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় বক্তগণ উল্লেখ করেন, এই মডেল ঘরটিতে ৪শ' বস্তা অর্থাৎ ৩০ টন আলু স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় প্রায় ৪ মাস সংরক্ষণ করা সম্ভব। এ পরিমাণ আলু হিমাগারে রাখলে কেবল ভাড়া বাবদই খরচ পড়বে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে বস্তা পরিবহন, একাধিকবার লোডিং-আন লোডিং খরচও কৃষকদের হয়ে থাকে। কিন্তু বসতবাড়ির আংশিক ছায়াযুক্ত উঁচু খোলা, বাতাস চলাচল উপযোগী স্থানে বাঁশ, কাঠ-টিন দিয়ে নির্মিত অহিমায়িত সংরক্ষণাগারে একই পরিমাণ আলু সংরক্ষণে কৃষকদের ব্যয় হবে প্রতি বছর ১০ হাজার টাকার কম।

এ ঘরে সংরক্ষিত আলু কৃষক বাজারে সুবিধাজনক সময়ে বিক্রি করতে পারবেন, যা হিমাগারে সংরক্ষিত আলুর ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। কারণ হিমাগারে সংরক্ষিত আলু বের করার জন্য কৃষকদের হিমাগার কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভরশীল হতে হয় এবং নির্দিষ্ট সময় ছাড়া আলু খালাস করা সম্ভব হয় না। এ পদ্ধতিতে আলু সংরক্ষণ করলে দেশের হিমাগারগুলোতে আলু সংরক্ষণের চাপও অনেক কমে যাবে এবং এই আলু গুণল রপ্তানিতেও সহায়ক হবে।