দীন মোহাম্মদ দীনু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: আধুনিক ও উচ্চতর গবেষণা ছাড়া টেকসই কৃষি উন্নয়ন সম্ভব নয়। টেকসই কৃষি উন্নয়নে শুধু কৃষি পন্য উৎপাদন বাড়ালে হবে না নিরাপদ কৃষি পন্য উৎপাদনের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।বাংলাদেশের কৃষিতত্ত্ববিদগণ এব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস, কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
তিনি কৃষি জমিতে সার,কীটনাশক,ছত্রাকনাশকের পরিমিত ব্যাবহার নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে যারা কৃষি সম্প্রসারণে কাজ করছেন তাদের প্রতি আহবান জানান। বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রোনমি (বিএসএ) এর ২২তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রোনমি (বিএসএ) বাংলাদেশের কৃষিতে রূপান্তর : কৃষি শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক এই ২২তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের আয়োজন করে । আজ শনিবার (০৯ ডিসেম্বর ২০২৩) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রোনমি (বিএসএ) এর সভাপতি ড. নূর আহম্মেদ খন্দকার এর সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রহমান সরকার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান, ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো: ওমর আলী এবং ইউজিসি প্রফেসর ড. মো. সুলতান উদ্দিন ভূঞা। সম্মেলনে এফএও বাংলাদেশের সিনিয়র কারিগরি উপদেষ্টা জনাব সাসো মার্টিনভ সম্মানিত অতিথি ছিলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও ফ্রিল্যান্স আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষক ড. মইন-উস-সালাম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম এর পরিচালক প্রফেসর ড.মাহফুজা বেগম এবং অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রোনমি (বিএসএ) এর সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. আবদুল কাদের।
সম্মেলনে ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে কৃষি প্রযুক্তিকে আরো উন্নত করতে ভার্টিক্যাল কৃষি, নিয়ন্ত্রিত কৃষির ওপর জোর দিতে হবে। আমাদের শুধুমাত্র স্মার্ট কৃষি হলেই হবে না বরং স্মার্ট কৃষক তৈরীতে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন।তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা স্বল্প জমিতে তুলনামূলকভাবে অধিক উৎপাদনের মাধ্যমে ১৮ কোটি মানুষের খাবারের যোগানের ব্যবস্থা করেছে। কৃষি বিজ্ঞানীগণই কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে পরিচয় করিয়েছেন। সম্মেলনে ১২২টি টেকনিক্যাল পেপার ৩টি টেকনিক্যাল সেশনে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া কনফারেন্সে ১টি পোস্টার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে পাঁচ শতাধিক কৃষিতত্ত্ববিদসহ দেশ-বিদেশের গবেষক, শিক্ষক ও স্বনামধন্য কৃষি বিজ্ঞানীগণ অংশ গ্রহণ করেন।