রাজধানী প্রতিনিধি:আধুনিক মৎস্যচাষে ফিসটেক হ্যাচারীর সেবা খামারী পর্যায়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। তিন দিন ব্যাপী (২৪-২৬ জুলাই) মেলার দ্বিতীয় দিনে এগ্রিলাইফকে এমনটিই জানালেন ফিসটেক হ্যাচারী লিমিটেডের ম্যানোজিং ডিরেক্টর জনাব মোহাম্মদ তারেক সরকার। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলার দ্বিতীয় দিনে ফিসটেক হ্যাচারীর ২৩ নং ষ্টলে এসব জানতে আগ্রহীরা ভিড় করছিলেন।
ফিসটেক হ্যাচারীর সেবাগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো পিজি (পিটুইটারী গ্লাড)। যা একটি প্রাকৃতিক হরমোন এর অন্যতম উৎস এবং হ্যাচারিতে মাছের রেণু উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। কৃত্রিম হরমোন ব্যবহারে ব্রুড মাছ ও পোনার উপর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে কিন্তু প্রাকৃতিক হরমোন ব্যবহারে মাছের জীবন চক্রে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না বলেন তারেক সরকার।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক এই হরমোন ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত মাছের পোনা তুলনামূলকভাবে অধিকতর রোগ প্রতিরোধক্ষম ও দ্রুতবর্ধনশীল। প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো থেকে আহরিত পোনার পরিমাণ দিন দিন কমে যাওয়ায়, হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদনের কোন বিকল্প নেই। যেখানে, পিজি ব্যবহার করে মাছের স্বাভাবিক উৎপাদন ধরে রাখা সম্ভবপর হচ্ছে। মৎস্য হ্যাচারিতে প্রাকৃতিক হরমোনের উৎস হিসেবে কার্প পিটুইটারি গ্ল্যান্ড (পিজি) এর ব্যবহার সবচেয়ে নিরাপদ।
ফিসটেক পিজি প্রোসেসিং ল্যাবরেটরি একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশের মৎস্য হ্যাচারিগুলোতে গুণগত মানসম্পন্ন পিজি সরবরাহ করছে। বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টরে প্রাকৃতিক হরমোনের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে ফিসটেক হ্যাচারি লিমিটেড পিজি ল্যাবরেটরিটি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়, যার অন্যতম উদ্দেশ্য হল প্রাকৃতিক হরমোনের ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে গুণগত মানসম্পন্ন পোনা উৎপাদনের ফলে মৎস্য এবং মৎস্য চাষিদের কাঙ্খিত উৎপাদন নিশ্চিত করা। ফিসটেক কার্প পিটুইটারি গ্ল্যান্ড (পিজি) প্রোসেসিং ল্যাবরেটরিটি ২০২০-২০২১ সালে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার অ্যাক্টিভিটি প্রকল্পের আওতায় যৌথভাবে বাস্তবায়ন করে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশ এবং ফিসটেক হ্যাচারি লিমিটেড।