রাজধানী প্রতিনিধি: নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি পন্য উৎপাদনে পোল্ট্রি গবেষকদের কাজ করতে হবে। পোল্ট্রি এখন বৃহৎ একটি শিল্প। উচ্চ খাদ্য মূল্যের কারণে এ শিল্প পরিচালনা বর্তমানে কঠিন হয়ে পড়েছে। এরই মাঝে এ সেমিনার পোল্ট্রি খাতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। সেমিনার থেকে প্রাপ্ত লাগসই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প আরো সামনের দিকে যাবে।
রাজধানী ঢাকায় শুরু হওয়া ২ দিন ব্যাপী ১২ তম আন্তজার্তিক সেমিনারে অংশগ্রহন করা পোল্ট্রি শিল্পের বিজ্ঞানী-গবেষক ও ইন্ডাষ্ট্রির সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ এমনটাই আশা করেন। আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ ২০২৩) সকাল ৯ টা থেকে রাজধানীর ব্লু রেডিসন হোটেলে ওই সেমিনার শুরু হয় যা আগামীকাল বুধবার শেষ হবে।
ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন (WPSA-BB) বাংলাদেশের সভাপতি মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন (WPSA-BB) বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব হাসান। এতে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রাস্টির উপর বক্তব্য প্রদান করেন নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি এর পরিচালক জনাব শামসুল আরেফিন খালেদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. শওকত আলী।
পোল্ট্রি শো আয়োজনের উপর বক্তব্য প্রদান করেন ১২ তম আন্তজার্তিক পোল্ট্রি শো ও সেমিনারের টেকনিক্যাল কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
সেমিনার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরীবলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পোল্ট্রি শিল্পের উপর প্রভাব পড়েছে। এখানে উপস্থাপিত পেপারগুলো পোল্ট্রির সকল ক্ষেত্রে কাজে লাগবে ও পোল্ট্রি খাত এগিয়ে যাবে।
সেমিনারে অংশগ্রহনকারী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আলী আকবর বলেন, পোল্ট্রি খাত বাংলাদেশের খুবই সম্ভবনাময় ও লাভজনক খাত। সবাই মিলে এ খাতকে এগিয়ে নেওয়ার প্রয়াসে এ সেমিনার পোল্ট্রি শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও বাংলাদেশের মানুষের সবার গুণগত আমিষের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।
ইন্টারন্যাশনাল পোল্ট্রি সেমিনারে দেশ-বিদেশের বরেণ্য পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞসহ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রির প্রায় চার শতাধিক ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করছেন । সেমিনার প্রসঙ্গে টেকনিক্যাল কমিটির কনভেনার প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, প্রথম দিনে দুটি প্লেনারি সেশনে মোট ৬ টি এবং দুটি ওরাল সেশনে মোট ২০ টি পেপার উপস্থাপিত হয়েছে। এছাড়াও ৫০ টি পোস্টার উপস্থাপন করা হয়েছে।