এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: দেশের বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকারের সিআইপি (শিল্প) নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী ৪৪ জন ব্যক্তিকে ২০২১ সালের জন্য ‘বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (শিল্প)’ বা সিআইপি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এ লক্ষে গত ৩ এপ্রিল একটি গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। একইদিন শিল্প মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে মাঝারি শিল্প উৎপাদনে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন, বিশ্বাস পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিস ফিডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান।
মাঝারি শিল্প উৎপাদনে মোঃ মাহবুবুর রহমানকে নির্বাচিত করায় ব্যবসাবান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসইসি শাখাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সেই সাথে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান গ্রুপ এর প্রতিটি সদস্য এর যাঁদের কারনে মাহবুব গ্রুপ আজ এই অবস্থায় আসতে পেরেছে।
উল্লেখ্য মাহবুব গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে প্রসিদ্ধ পোল্ট্রি-ফিস-ফিড, উৎপাদন ও বিপণন, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিপণন, রপ্তানী ব্যবসা, ট্র্যান্সপোর্ট ইত্যাদি ব্যবসা সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছে। এর আগে তিনি পরপর ৪ বার গাজীপুর মহানগরের সর্বোচ্চ করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন। এবছরই ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন।
মো: মাহবুবুর রহমান গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুরে ১৯৯৫ সালে একটি মুরগীর খামার দিয়ে পোল্ট্রি সেক্টরে যাত্রা শুরু করেন। ২০০৫ সালে কয়েকজন বন্ধু মিলে শুরু করেন বিশ্বাস পোল্ট্রি এন্ড ফিস ফিডস লি: নামে একটি ফিডমিল। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা, পরিশ্রম, ধৈর্য, প্রজ্ঞা, সাহসীকতা, বিচক্ষনতা, আন্তরিকতায় গড়ে উঠে একে একে ৩২ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে গঠিত হয় মাহবুব গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ। বর্তমানে মাহবুব গ্রুপে প্রায় ৪০০০ লোকের কর্মসংস্হান হয়েছে।
অত্যন্ত নিরহংকারী ও সাদাসিধে জীবন যাপনে অভ্যস্ত একজন সাধারন মানুষ শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেই থেমে থাকেননি। সামাজিক কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন সর্বদা। গাজীপুরের কাশিমপুরে প্রতিষ্ঠা করেছেন রফিকুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, রফিকুল ইসলাম ক্যাডেট মাদ্রাসা, উম্মে কুলসুম জামে মসজিদ, রফিকুল ইসলাম জামে মসজিদ। গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাশিমপুর থানার জন্য তিনি প্রায় ৭ কোটি টাকা মুল্যের জমি দান করেছেন।
সিআইপিরা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সিআইপি (শিল্প) সংক্রান্ত একটি পরিচয়পত্র পাবেন। পরিচয়পত্রে মেয়াদকাল উল্লেখ থাকবে এবং মেয়াদকালীন সময়ে পরিচয়পত্রটি বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র হিসেবে গণ্য হবে। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন।
ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে চলমান সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসা প্রাপ্তির জন্য তাঁর অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে Letter of Introduction (Lol) প্রদান করবে।
স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। মেয়াদকালীন সময়ে সরকার কর্তৃক তাকে শিল্প বিষয়ক নীতি নির্ধারণী কোনো কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।