এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: এনিমেল হাজবেন্ড্রি গ্র্যাজুয়েটদের মেধা ও প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য প্রাণীর উৎপাদন বৃদ্ধি সংক্রান্ত সম্প্রসারণমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য পৃথক একটি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উন্নয়নে মূলভিত্তি ছিল শস্যভিত্তিক আলাদা আলাদা বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। ফলশ্রুতিতে বিগত চার দশকে কৃষির ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। একইভাবে বিদ্যমান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে পূনর্গঠিত করে প্রাণি উৎপাদন ও প্রাণি চিকিৎসা নামক দুটি পৃথক অধিদপ্তর গঠন করা এখন সময়ের দাবি।
বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রি এসোসিয়েশন (বাহা)-এর ১১তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সেমিনার উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রি এসোসিয়েশন (বাহা)-এর সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ নুরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
ড. মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, কৃষি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞান ও প্রায়োগিক প্রযুক্তির প্রসারে এনিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদ থেকে ১৯৬২ সাল অবধি প্রায় ৪০০০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বিএসসি ইন এনিমেল হাজবেন্ড্রি ডিগ্রী প্রদান করেছে। এনিমেল হাজবেন্ড্রি প্রফেশনালগণ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মিল্কভিটা, বিভিন্ন এনজিও ও বেসরকারী পোল্ট্রি ও ডেইরী শিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রি এসোসিয়েশন (বাহা)-এর সভাপতি আশা করেন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও "Vision 2041 and Roadmap for Creating Climate Resilience Livestock in Bangladesh: Role of Animal Husbandry professionals" শীর্ষক সেমিনার হতে আশানরূপ সুপারিশ ও রূপরেখা বের হয়ে আসবে। তিনি এ উদ্যোগের সফলতা কামনা করেন।