এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: দেশের প্রাণিজ আমিষকে নিরাপদ করার পূর্বশর্ত হলো পণ্যের গুনগত মান নিশ্চিত করা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গুণগতমানের ফিড (ডেইরি, পোলট্রি ও মৎস্য খাদ্য ) উৎপাদন করে অল্প সময়ে মধ্যেই খামারীদের সন্তুষ্টি অর্জন করেছে আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ।
আজ শুক্রবার ( ১৩ই অক্টোবর ২০২৩) ঢাকার একটি হোটেলে আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এক পরিবেশক সম্মেলনে আগত পরিবেশকদের সঙ্গে কথা বলে খামারীদের এই পশু খাদ্যে আস্থা অর্জনের প্রমান মিলেছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে পরিবেশক সম্মেলনে (ভার্চুয়ালি) যুক্ত ছিলেন আস্থা ফিডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন চৌধুরী। তিনি পরিবেশকদের উদ্দেশেৃবলেন, পরিবেশকদের ভালো সার্ভিস ও বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ক করা হবে। আমাদের কাছে আপনাদের যে সব বিভিন্ন দাবি রয়েছে সেগুলো সমাধানে জন্য আমরা কাজ করছি। আমাদের সাফল্যের আপনারা অংশিদার। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আস্থা ফিড প্রয়োজনীয় সকল কিছু করবে। আপনাদের ও খামারীদের মুরগির বাচ্চা সরবরাহ করার জন্য আমাদের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে আস্থা ফিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদদিন খান বলেন, আমাদের পথচলাটা নিঃকন্টক ছিল না। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যদিয়ে আমাদের এই অবস্থানে এসেছি। সবার ঐকান্তিক পরিশ্রমে আজ আস্থা ফিড পরিবেশক ও খামারীদের আস্থা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, শুরুতে আমরা আমাদের পরিবেশক ভাইরা জানিয়েছিলেন পণ্যের মান ঠিক রাখার জন্য। তখনই আমরা পরিবেশকদের নিশ্চিয়তা দিয়েছিলাম আমাদের যতকষ্টই হোক না কেনো পণ্যের গুনগত মাণ নিশ্চিতে কোনো আপস করবোনা। আমরা শুধুব্যবসা করতে চাই না। আমরা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই দেশ ও জাতির মেধা উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, ফিডের মান উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এক ঝাঁক উদ্যমী ও গবেষকরা কাজ করছেন। ফিডের মাণ নিশ্চেতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গুনগতমানের কাঁচামাল আমদানি করা হয়ে থাকে। আশাকরি অচিরেই আমরা খামারীদের মুরগির বাচ্চার চাহিদাপূরণে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আস্থা ফিডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) এম এ মালেক। তিনি বলেন, গার্মেন্টসের পরেই ফিড শিল্পের অবস্থান। তিন বছর আগে ছোট্টো পরিসরে শুরু করলেও আমরা খামারী ও পরিবেশকদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। নিশ্চিত করেছে পণ্যের গুনগতমান এবং সার্ভিস। শুরুতে ২৩ টি জেলায় ব্যবসা পরিচালনা করা হলেও আজ আমরা ৫৮ টি জেলায় কার্যক্রম চলছে।
সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সি এম ও) নুরুল মোর্শেদ খান বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করেছি। বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের মধ্যকার বিভিন্ন সমস্যাগুলো সমাধান করে আধুনিক বাজার ব্যবস্থাপনা চেইন তৈরি করা হবে। যাতে করে আপনাদের সকল সমস্যার দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়।
ময়মনসিংহ ভালুকার পরিবেশক ও মা পোলট্রি ফিডের কর্ণধার মো. জাহিদ হাসান বলেন, তিনি ২০০০ সালের নভেম্বরে আস্থা ফিডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তখন তার ফিড বিক্রির পরিমান ছিল ৩০০ টন। তিন বছরের ব্যবধানে তিন এখন পোলট্রি ফিড বিক্রয় করছেন ১ হাজার টন। গুনগতমাণের ফিড উৎপাদন করায় প্রতি নিয়তই বাড়ছে আস্থা ফিডের প্রসার।
ময়মনসিংহ জেলার (ফুলবাড়িয়া) পরিবেশক মো আসাদুজ্জামান বলেন, ২০২১ সালে তার বিক্রি ছিল ৫১ টন মৎস্য ফিড। এখন তার বিক্রি ১০০০ টনের বেশি। যার চাহিদা প্রতিদিনই বাড়ছে। এমনটাই জানিয়েছেন মানিকগঞ্জের মাসুদ, বরিশালের মো. সেকান্দার, নরসিংদীর কামাল উদদিন, আব্দুর রশিদ।
অন্যান্যদের মধ্যে পরিচালক সাইফুল ইসলাম বাবু,পরিচালক মো: সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী ও সালাউদ্দিন ইমন, সিএনও ডা: আফাজুর রহমান, কৃষিবিদ মো. শাহীন আলম এছাড়াও ডি জি এম সেলস এন্ড মার্কেটিং ডঃ জাহিদ, এ জি এম সেলস এন্ড মার্কেটিং জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল এবং শাহ মো. আলী আজাদ, ডা: শোয়েব, কায়সার কুতুবী এবং ফারুক আহমেদ সেলিমসহ সংশ্লিষ্ঠরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠানের চিফ পিপল অফিসার মইনুল ইসলাম।