গৃহস্থালী বর্জ্য থেকে সার বানানোর আইডিয়া দিয়ে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক হলেন সিকৃবির আমাতুল ইফা ওফাতিন অলিক

এস এম রায়হানুল নবী,সিকৃবি প্রতিনিধিঃ “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কৃষি বিষয়ক প্রযুক্তি” শিরোনামে প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন সিলেটকৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী আমাতুল জামিল ইফা ও ফাতিন মোবাররাত অলিক। গত ডিসেম্বরে ইনোভেশন ও ই-গভার্নেন্স টিম, কৃষি বিষয়ক উদ্ভাবনী ধারনা আহবান করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা এই প্রতিযোগিতায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত ১৫টি আইডিয়া থেকে সেরা ৬টি দলের আইডিয়া গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর সচিবালয়ে উপস্থাপিত হয়। এর মধ্যে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী আমাতুলজামিল ইফা ও ফাতিন মোবাররাত অলিকের আইডিয়া “ওয়েস্ট রিসাইকলার” শ্রেষ্ঠউদ্ভাবন হিসেবে স্বীকৃতি পেলো।

গৃহস্থলীর আবর্জনা থেকে শুরু করেরাস্তাঘাট ও দোকানপাটের বর্জ্য সংগ্রহ করে সেগুলোকে ভার্মিকম্পোস্ট বা কেঁচো সার বানিয়ে কৃষকের কাছে পৌছে দেয়ার একটি প্রযুক্তি তারা উদ্ভাবন করেছে।

অন্যান্য পাঁচটি সেরা আইডিয়া হচ্ছে মোঃ রাজিবুল ইসলাম,আকিমুন হাসান রাফি ও ফরিদুল ইসলাম উদ্ভাবিত “ইআরপি মোবাইলএপ্লিকেশন ব্যবহার করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কার্যক্রমউন্নতকরণ”, মোমিনুল হক সিফাত ও তার দলের উদ্ভাবিত “এগ্রি মার্কেটপ্লেস বাংলাদেশ ওয়েবসাইট”, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার দলের উদ্ভাবিত“নিয়ারবাই এগ্রিএক্সপার্ট ফাইন্ডিং অ্যাপ”, বিল্লাল হোসাইন ও সব্যসাচী নিলয় উদ্ভাবিত “টেকসই খাদ্য উৎপাদনের জন্য স্মার্ট সৌরচালিতঅ্যাকোয়াপনিক্স সিস্টেম” এবং রাকিবুল আলীম স্মরণ উদ্ভাবিত “স্মার্ট ডাইনিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম: ইউনিডাইন”।

উল্লেখ্য আগামী ১৮ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে অনুষ্ঠিত “ইনোভেশনশোকেসিং” কর্মশালায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করবে আমাতুল জামিল ইফা ও ফাতিন মোবাররাত অলিক উদ্ভাবিত “ওয়েস্ট রিসাইকলার”।

সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা জানান, প্রতিটি আইডিয়া আমাদের পছন্দ হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রনালয়সহ অনেক দেশী বিদেশী প্রতিষ্ঠান যারা উদ্ভাবনী ধারনা নিয়ে কাজ করেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত আইডিয়াগুলো আমরা সেখানে পাঠাবো। তিনি সিকৃবির শিক্ষার্থীদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, যারা প্রকৃত মেধাবী শত প্রতিকূলতাও তাদের ঠেকিয়ে রাখতে পারেনা। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তার উন্নয়নে সিকৃবি প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। যেকোন শিক্ষার্থীর বুদ্ধিভিত্তিক উন্নয়নে এবং ভালো কাজে উৎসাহ প্রদান করতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।