গবিতে ১ম সায়েন্টিফিক পোস্টার প্রেজেন্টেশন

মোঃ জনি শিকদার, গবি প্রতিনিধি:সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) প্রথমবারের মতো সায়েন্টিফিক পোস্টার প্রেজেন্টেশন আয়োজন করে সেন্টার ফর মাল্টিডিসিপ্লিনারী রিসার্চ (সিএমআর)। আজ রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) একাডেমিক ভবনের ৫ম তলায় সিএমআর এর সামনে পোস্টার প্রেজেন্টেশন উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম।

আয়োজনে মোট ২২ টি গবেষণা কর্মের ফলাফলের পোষ্টার প্রদর্শিত হয়। পাশাপাশি এসব গবেষণা সমূহের সারসংক্ষেপ বই উন্মুক্ত করা হয়। ৬৮ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছেন।

পোস্টার প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা এবং প্রধান সম্পাদক বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সভাপতি ড. ফুয়াদ হোসেন বলেন, 'এই পোস্টার প্রেজেন্টেশন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার সূচনা মাত্র। আমাদের প্রতি বিভাগেই পোস্টার প্রেজেন্টেশন হয়ে থাকে। প্রবীণ শিক্ষক থেকে নবীন শিক্ষার্থীরাও এতে অংশগ্রহণ করেছে।'

অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরুতে গবেষণার পরিবেশ সীমিত ছিল। আমরা গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। নিয়মিত পোস্টার প্রেজেন্টেশন করার আহ্বান জানাচ্ছি। বিভাগীয় প্রধানরা যেন তাদের শিক্ষকদের গবেষণা প্রকাশে আরও মনোযোগী হন। সবার গবেষণাপত্র লেখার মান যেন বৃদ্ধি হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা রিসার্চ বাজেট বাড়িয়ে গবেষণামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করবো।'

প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, 'আমাদের দেশে মানসম্মত শিক্ষক কম। আমরা মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করছি। আমাদের গবেষণা করার ব্যবস্থা আছে। এজন্য একটা রিসার্চ সেন্টার ল্যাব করার চেষ্টা করছি। লেখাপড়ার পাশাপাশি গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি জ্ঞানার্জন করবে।'

সভাপতির বক্তব্যে সিএমআরের পরিচালক ডা. মো. তারিকুল ইসলাম আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অনেক ইচ্ছা ছিল আমাদের মানুষেরা গবেষণামুখী হবে। তবে এ কথাও সত্য, গবেষণা একা একা করার ব্যাপার না। প্রশাসনের আগ্রহ আছে। এখন আমরা চাই বাকিরাও গবেষণায় আগ্রহী হয়ে উঠুক।'

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা ঘুরে ঘুরে পোস্টার প্রেজেন্টেশন দেখেন। সেরা পাঁচ পোস্টার প্রেজেন্টেশনকারীকে পুরষ্কৃত করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিনস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম খান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবু হারেস, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক- শিক্ষার্থী প্রমুখ।