এগ্রিলাইফ ডেস্ক:রংপুরের দুই কৃতি সন্তানকে সংবর্ধনা দিয়েছে ময়মনসিংস্থ বৃহত্তর রংপুর সমিতি। শুক্রবার (২৯ জুলাই ২০২২) রাত ৮ টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বাকৃবি) ছাত্র শিক্ষক সম্মেলন কেন্দ্রের মিলানায়তনে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধনা প্রাপ্তরা হলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.কে.এম জাকির হোসেন ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কৃষিবিদ খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে সমিতির নব গঠিত কমিটির পরিচিতি পর্ব ও ফটোসেশন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রংপুর সমিতির সভাপতি ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. আজহারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. বিপ্লব কুমার সাহা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রফেসর ড. এ.কে.এম জাকির হোসেন বলেন, রংপুর সমিতি আমার পরিবারের মত। অনেক দূর থেকে আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসি, এ কারণে একসাথে থাকার প্রয়োজন পড়ে। এজন্য একটি সমিতির প্রয়োজন হয়, যাতে সবাই একে অপরকে সাহায্য করতে পারে। ছাত্র অবস্থা থেকে এ সমিতির সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমি এ সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক দায়িত্ব পালন করেছি। সমিতির সবার মধ্যে ঐক্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বর্তমান সভাপতি প্রফেসর ড. আজহারুল ইসলাম সেটি ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।
ড. জাকির হোসেন আরো বলেন, বাকৃবিতে থাকাকালীন আমি সবসময় চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীদের সাথে মিশে থাকতে, তাদের কী সমস্যা তা জানার সে যে অঞ্চলের মানুষই হউক না কেন। বাকৃবির সাথে আমার সম্পর্ক অনেক নিবিড়, আমি মনে প্রাণে বাকৃবিকে মিস করি সবসময়। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালের কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে অনেক চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবো। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তথা উত্তরাঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আমার অনেক স্বপ্ন ও প্রত্যাশা আছে, আমি সেটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাবো।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কৃষিবিদ খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, আমি চেষ্টা করে যাবো রংপুর সমিতির সকলের জন্য কিছু করার। রাজনীতি আমার প্যাশন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর থেকে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। বাকৃবি ক্যাম্পাসে সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চা প্রতিষ্ঠা করার জন্য যা যা করা দরকার তা আমি সেটাই করে যাবো। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যেমন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান তেমনি বাকৃবি ছাত্রলীগ ইউনিটও একটি স্বনামধন্য ইউনিট। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা- কর্মচারী একসাথে কাজ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমি কাজ করে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির পরে যেন জাতীয় পর্যায়ে নেতা হতে পারি সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।