বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আবাসিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলে স্নাতক লেভেল-১, সেমিস্টার-১ এ ভর্তিকৃত নবাগত ছাত্রদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান-২০২২ ও কৃতি ছাত্রদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৭ মার্চ) হলের কমন রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ. কে. শাকুর আহম্মদের সভাপতিত্বে ও হাউজ টিউটর মোহাম্মদ মাহবুবুলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ এবং হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের হাউজ টিউটর লেকচারার মামুন সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান, মারুফ হাসান এবং সাইফুল ইসলাম, হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এবং ১ম বর্ষের নবীণ শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আবু হাদী বলেন, তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছো, তোমাদের নিজেদেরকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। মাদক থেকে দূরে থাকবে সবসময়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে যুক্ত হবে। এছাড়াও পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা ও শরীর চর্চায় মনোনিবেশ করবে। ছাত্রদের হলগুলো থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য ৭ শতাংশ মেধাতালিকায় খুব কম ছাত্র খুঁজে পাওয়া যায়। তোমরা ১ম বর্ষ থেকেই চেষ্টা করবে ৭ শতাংশ মেধা তালিকায় প্রথম ৭ জনের মধ্যে থাকতে। সেটি যাদের সম্ভব হবে না তারা বিসিএস প্রস্তুতি নিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোতে চাকুরি নেবে। এটাই তোমাদের কাছে প্রত্যাশা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. সুবাস চন্দ্র দাস বলেন, নবীণ শিক্ষার্থী তোমরা বাংলাদেশের ইতিহাস সঠিকভাবে জানবে। আমাদের এই দেশ বঙ্গবন্ধুর জন্যই স্বাধীন হয়েছে। যারা এটি বিশ্বাস করবে না কিংবা যারা এটি মনে ধারণ করে না তাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই, তারা অন্তরে পাকিস্থানের প্রেতাত্মা ধারণ করে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মো. হারুন-অর-রশীদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের নবীণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের মেধা, যোগ্যতা ও মনন দ্বারা দেশকে সামনে এগিয়ে নেবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখাপড়া চালিয়ে যাবে। এটাই প্রত্যাশা।
নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।