ক্যাম্পাস প্রতিনিধি: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অ্যানিমেল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি (এএসভিএম) অনুষদের শিক্ষকদের তিন দিনব্যাপী পেডাগোজি প্রশিক্ষণ শেষে অভিজ্ঞতা শেয়ারিং ও শিক্ষক ম‚ল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে এএসভিএম অনুষদের সেমিনার কক্ষে অনুষদীয় ডিন অধ্যাপক ড. কেবিএম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ-এর ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, আইকিউএসি'র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মির্জা হাসানুজ্জামান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্যাথলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজেদা সুলতানা।
এর আগে গত ১৯-২১ জুন এএসভিএম অনুষদের শিক্ষকদের তিন দিনব্যাপী পেডাগোজি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বাংলাদেশ পেডাগোজি ফোরামের সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। শিক্ষকদের আকর্ষনীয় পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান পদ্ধতি, বাস্তবমুখী ও সমস্যানির্ভর শিক্ষাদানের কৌশল ও কর্মক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সর্বাধিক যোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান অনুষদের ডিন ড. কেবিএম সাইফুল ইসলাম।
তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুল হাসান শিকদার। বাংলাদেশ পেডাগোজি ফোরামের প্যানেলভুক্ত প্রশিক্ষক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পূর্বা ইসলাম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দিবেন্দু বিশ্বাস এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. এম এ হান্নান প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। হোম প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজেদা সুলতানা। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল বলেন, এরকম প্রশিক্ষণ সকল অনুষদে হওয়া উচিত। শেখার কোনো শেষ নেই। এরকম প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকরা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারছে বলে আশা করি। শিক্ষকদের অনুভ‚তি গুলো চমৎকার ছিল। সবার আগে আমাদের একজন ভালো শিক্ষক হওয়া উচিত। শিক্ষক হিসেবে আমরা কতটা দিতে পারছি এটা ভাবতে হবে। শিক্ষকদের সময়মত আসতে হবে। শিক্ষাদানে সবসময় দায়িত্বশীল হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কেবিএম সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি অনুষদকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে। এজন্য অনুষদের সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। এরকম প্রশিক্ষণ কর্মশালা নিশ্চয়ই আমাদের শিক্ষকদের আরও সমৃদ্ধি করেছে। শিক্ষকরা আগ্রহের সাথে শিখেছেন। তারা নিজেদের ম‚ল্যায়ন করতে আগ্রহী হয়েছেন। অনুষদের জন্য ভবিষ্যতে এমন নানা আয়োজন অব্যাহত থাকবে।