বাকৃবি প্রতিনিধি: আমার দরজা সকলের জন্যই খোলা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য হিসেবে এই চার বছরের দায়িত্ব আমার কাছে পরম পাওয়া। আমি এই পুরোটা দায়িত্ব ন্যায় ও সততার সাথে পালন করতে চাই। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো আমি একজন শিক্ষক। উপাচার্য হিসেবে আমি নিজেকে বিশেষ কিছু মনে করি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর পাঁচজন শিক্ষক এবং আমার মধ্যে কোনো দেয়াল তৈরি করতে চাই না।
নবনিযুক্ত উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
আজ সোমবার (৩১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে উপাচার্যের ওই শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এসময় উপাচার্য হিসেবে কাজ করার স্পৃহার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো ন্যায়নীতি ও সততা। আমি আমার শতভাগ শ্রম ও সময় দেওয়া চেষ্টা করব। যেকোনো কাজে সফলতার অন্যতম হাতিয়ার হলো ধৈর্য্য। আমিও ধৈর্য্যের সাথে কাজ করার চেষ্টা করব। সময়ানুবর্তিতা অনুসরণ হলো আমার আরেকটি বড় শক্তি।
শিক্ষার মান ও পরিবেশ উন্নয়নের ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, আমাদের প্রধান কাজ দক্ষ ও বিশ্বমানের গ্র্যাজুয়েট তৈরী করা। বিশ্বের কৃষিভিত্তিক যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের সাথে প্রতিযোগিতা করবে আমাদের গ্র্যাজুয়েট। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে টিকে থাকার মতো কৃষিবিদ তৈরী করতে প্রয়োজন শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ। শিক্ষার সকল সুবিধা নিশ্চিত করে বাকৃবি হবে দক্ষিণ এশিয়ার গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল হাব। বাকৃবি গ্র্যাজুয়েটরা চাকরিপ্রার্থী না হয়ে চাকরির ক্ষেত্র তৈরী করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়ে বলেন, বর্তমানে নতুন করে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প প্রাথমিকভাবে গৃহীত হয়েছে। আগামী আগস্ট মাসের মধ্যেই প্রকল্পটি পাশ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্যে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। কোনো বাধা আসলে শিক্ষক, কর্মকর্তা সকলে মিলে সমাধান করব।
এই চার বছরে আমার ব্রত হলো প্রতিদিন যেন বিশ্ববিদ্যালয় একটু একটু করে এগিয়ে যায়। চার বছর পরে বিবিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় দেখতে চাই। সকলে মিলে একযোগে কাজ করলে তবেই আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।