বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের কৃষি ও করণীয়

কৃষিবিদ ড. এম. মনির উদ্দিন: চীন, মার্কিন যুক্তরাস্ট্র, ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ, রাশিয়া এবং ব্রাজিল একত্রে ২০২২ সালে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রীণ হাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী। এই দেশগুলোর সম্মিলিত জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫০.১ শতাংশ, বৈশ্বিক দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬১.২ শতাংশ, বৈশ্বিক জীবাস্ম জালানী খরচের ৬৩.৪ শতাংশ এবং বৈশ্বিক গ্রীণ হাউজ গ্যাস নির্গমনের ৬১.৬ শতাংশ করে থাকে। বিশ্বের ১৫২টি দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশ মিলে প্রতিবছর কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে মাত্র ১৭.৭ শতাংশ যা দেশপ্রতি গড়ে ০.১১ শতাংশ। অথচ এই দরিদ্র দেশগুলোকেই আজকে লড়তে হচ্ছে জলবায়ুগত পরিবর্তনের রোষানলে পড়ে যার মধ্যে বাংলাদেশ মারাত্বক ঝুকির মধ্যে থাকা ৬ষ্ঠ দেশ।

২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী গ্রীণ হাউজ গ্যাস নির্গমনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড ছিল যা জীবাস্ম জালানীর দহনের ফলে ৭১.৬ শতাংশ। মিথেন গ্যাসের মোট অবদান ২১ শতাংশ, নির্গমনের অবশিষ্ট অংশ নাইট্রাস অক্সাইড যা ৪.৮ শতাংশ এবং ফ্লোরিনেটেড গ্যাস ২.৬ শতাংশ নিয়ে গঠিত। ফলে ২০২২ সালে গ্লোবাল গ্রীণ হাউজ গ্যাস নির্গমন ১.৭ শতাংশ বেড়ে ৫৩.৮ বিলিয়ন মেট্রিক টন কার্বন ডাই অক্সাইড সমতুল্য পর্যায়ে পৌছেছে। ১৯৭০ সালে বৈশ্বিক গ্রীণ হাউজ গ্যাস নির্গমনের পরিমান ছিল ২৪.৫ বিলিয়ন টন যা ১৯৯০ সালে বেড়ে দাড়ায় ৩৩.২৭ বিলিয়ন টন। ১৯৯০ সাল থেকে হিসাব করলে, বিশ্বব্যাপী গ্রীণ হাউজ গ্যাস নির্গমন বর্তমানে ৬০ শতাংশ বেড়েছে। কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রীণ হাউজ গ্যাস নির্গমনের প্রায় তিন চতুর্থাংশের জন্য দায়ী এবং এটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান চালক।

গ্রীণ হাউজ গ্যাস নির্গমনের মাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাপমাত্রা বাড়ছে। ১৮৮০ সাল থেকে, পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রতি দশকে গড়ে ০.১৪০ ফারেনহাইট (০.০৮০ সেলসিয়াস) বা মোট প্রায় ২০ ফারেনহাইট বেড়েছে। ১৯৮১ সাল থেকে উষœতার হার দ্ধিগুনেরও বেশী দ্রুত; ০.৩২০ ফারেনহাইট প্রতি দশকে বেড়েছে। নাসার বিশ্লেষণ অনুসারে, ২০২২ সালে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ২০১৫ এর সাথে রেকর্ডে ৫ম উষœতম হিসেবে পৌছেছে। ২০২২ সালে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৬০ ফারেনহাইট যা নাসার বেইজলাইন পিরিয়ডের (১৯৫১-১৯৮০) গড় থেকে বেশী ছিল।

কৃষি বাংলাদেশের একটি প্রধান অর্থনৈতিক খাত এবং দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কৃষিই দেশের প্রধান চালিকা শক্তি। বাংলাদেশের ভৌগলিক আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার যার প্রায় ৮০ শতাংশ সমতল ভুমি, দক্ষিন-পুর্বে ১১ শতাংশ পাহাড়ী এলাকা এবং উত্তরাঞ্চলের অবশিষ্ট উচ্চভুমি নিয়ে গঠিত। প্রধান নদ-নদী গঙ্গা, ব্রক্ষপুত্র ও মেঘনার সব মিলিয়ে ২৩০টিরও বেশী উপনদী প্রবাহমান রয়েছে। বাংলাদেশ উপ-গ্রীস্মমন্ডলীয় মৌসুমী জলবায়ু দ্বারা প্রবাহিত যেখানে ৬টি ঋতু রয়েছে। দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৭০ সেলসিয়াস এবং সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১০ সেলসিয়াস। গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১৪২৯ থেকে ৪৩৩৮ মিমি. এবং সর্বাধিক বৃষ্টিপাত অর্থ্যাৎ ৮০ শতাংশ হয়ে থাকে জুলাই-অক্টোবর মাসের মধ্যে। ১৮৯১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে মোট ২০১টি ঘুর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে যেখানে অনেক প্রানহানির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ফসল, মাছের ঘের এবং গবাদিপশু।

জাতিসংঘের আইপিসিসি’র গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুকির মধ্যে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ৬ষ্ঠ অবস্থানে আছে। বাংলাদেশে জলবায়ু সর্ম্পকিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে রয়েছে বন্যা, খরা, ঘুর্ণিঝড়, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, সমুদ্রপুষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, তাপপ্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ, শিলাবৃষ্টি, অতি বৃষ্টি, বজ্রপাত ইথ্যাদি। দেশের কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই এবং মাটির স্বাস্থ্য, মাটির অ¤øতা, লবণাক্ততা, উর্বরতা হ্রাস পেয়েছে, বেড়েছে জলাবদ্ধতা, নদী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে বাড়ীঘরসহ কৃষি জমি, অসময়ে শুকিয়ে যাচ্ছে নদীনালা যা সামগ্রিকভাবে দেশের খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলছে। ২০০৭ এবং ২০১২ সালে উপকুলীয় এবং দেশের উত্তর পুর্বাঞ্চলে বায়ুভিত্তিক তাপপ্রবাহের কারনে বোরো ধানের উৎপাদন যথাক্রমে ৬.৩৫ ও ১০.৬৫ শতাংশ কম হয়। ২০২৩ সালেও হাওড় অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশ প্রতিবছর জিডিপি’র ২ শতাংশ হারাচ্ছে এবং অনুমান করা হয় যে, ২০৫০ সাল নাগাদ এই ক্ষতি ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। সরকারী এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে, শুধুমাত্র জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারনেই কৃষির উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে, অন্যদিকে কৃষির ফলন কমেছে ৭-১০ শতাংশ। জলবায়ুর পরিবর্তন বাংলাদেশে কেবল কৃষির ফলনই কমাচ্ছে না; এটি খাদ্য নিরাপত্তা ও গুনগতমানের উপরও প্রভাব ফেলছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তনের কারনে কীটপতঙ্গ ও রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে যা ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরুপ। চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া খাদ্য সরবরাহ এবং স্টোরেজ ব্যবস্থাপনার অবকাঠামোর অবনতি ঘটায় যার ফলে খাদ্য পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসুচী (ইউএনডিপি) এর ২০২০ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে যার ফলে দেশে দারিদ্রতা এবং অপুষ্টি বেড়েছে। গবেষণা অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে দেশের দরিদ্র ও ঝুকিপুর্ন জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বাংলাদেশের খাদ্য, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি নিরাপত্তার উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেশ কিছু সমস্যার দ্বারা বেষ্টিত একটি জটিল সমস্যা। অভিযোজনের বড় বাধা হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক সম্পদের অভাব। দেশের বেশিরভাগ মানুষ যারা কৃষির সাথে জড়িত তারা হলো প্রান্তিক কৃষক, যাদের জলবায়ু সহণশীল কার্যকলাপে বিনিয়োগ করার জন্য অর্থায়নের অভাব রয়েছে। এর কারনে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা প্রায়ই জলবায়ু সংবেদনশীল কৃষি প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে, যা খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত স্থায়ীত্বের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স (২০২১) অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা সবচেয়ে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ইন্টারন্যানাল ফুড পলিসি রিসার্স ইন্সটিটিউট এর ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারনগুলোর প্রভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে চালের উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে যেতে পারে। সমীক্ষায় আরো বলা হয়, উচ্চ তাপমাত্রা, বন্যা এবং অন্যান্য জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারনে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের গম উৎপাদন ৩০ শতাংশ, ভুট্টা ১৪ শতাংশ এবং আলুর উৎপাদন ৬ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে।

ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাড) এর ২০১৮ সালের মুল্যায়ন অনুসারে দেখা যায়, দেশের কৃষকদের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ জলবায়ু সহণশীল কৃষি পদ্ধতিতে নিযুক্ত ছিলেন। সুতরাং দেশের গ্রামীন পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য তথা জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশকে টেকসই ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণে কাজ করতে হবে। সেইসাথে, দেশের খাদ্য ব্যবস্থায় স্থিতিবস্থা নিয়ে আসতে এবং পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে উৎপাদনশীলতা বজায় রাখার জন্য দেশের বিভিন্ন জলবায়ু সংবেদনশীল এলাকাভিত্তিক শস্যবিন্যাসে পরিবর্তন ও সংযোজন আনা জরুরী।

দেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন ক্লাইমেট ভালনারেবল এলাকার জন্য জলবায়ু সহণশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে যেগুলো মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করে দেশের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহন করা অত্যাবশ্যক। দেশের চাষের জমি প্রতিবছর ১ শতাংশ হারে কমছে, সেইসাথে ১.৩ শতাংশ হারে জনসংখ্যা বাড়ছে যার জন্য দেশের খাদ্য উৎপাদন স্বাভাবিকভাবেই বাড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যে বাধ সেধেঁছে প্রকৃতি তথা জলবায়ুর পরিবর্তন। কাজেই খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াকে সচল রেখে উৎপাদন বাড়ানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে নুতন নুতন ফসলের জাত উদ্ভাবন এবং তার মাঠ পর্যায়ে দ্রুত সম্পসারণ। যে সকল জলবায়ু সহণশীল ফসলের জাত বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক রয়েছে তার উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগুলো হলোঃ

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে দেশের এলাকাভিত্তিক উপযোগী ফসলঃ

ইক্ষুর ১৯টি জাত রয়েছে যেগুলো খরাপ্রবণ এলাকায় সফলভাবে চাষ করা যায়। এ জাতগুলো হলো-: আইএসডি-২০,আইএসডি-২১,আইএসডি-২২,আইএসডি-২৪,আইএসডি-২৫,আইএসডি-২৬,
আইএসডি-৭,আইএসডি-২৮,আইএসডি-২৯,আইএসডি-১,আইএসডি-৩২,আইএসডি-৩৩,
আইএসডি-৩৪,আইএসডি-৫,ইএসডি-৩৬,আইএসডি-৩৭,আইএসডি-৩৮,আইএসডি-৩৯,আইএসডি-৪০

১৯টি জলমগ্নতা সহনশীল ইক্ষুর জাতগুলো হচ্ছে ইএসডি-২১,আইএসডি-২২,আইএসডি-২৪,আইএসডি-৫,আইএসডি-২৬,আইএসডি-২৭,আইএসডি-২৮,
আইএসডি-২৯,আইএসডি-৩১,আইএসডি-৩২,আইএসডি-৩,আইএসডি-৩৪,আইএসডি-৩৫,আইএসডি-৬, আইএসডি-৩৭,আইএসডি-৩৮,আইএসডি-৩৯, আইএসডি-৪০

২০টি বন্যা সহণশীল ইক্ষুর জাতগুলো হচ্ছে-আইএসডি-২০,আইএসডি-২১,আইএসডি-২২,আইএসডি-২৪,আইএসডি-২৫,আইএসডি-২৬,
আইএসডি-২৭,আইএসডি-২৮,আইএসডি-২৯,আইএসডি-৩০,আইএসডি-১,
আইএসডি-৩২,আইএসডি-৩৩,আইএসডি-৪,আইএসডি-৩৫,আইএসডি-৩৬,আইএসডি-৩৭,

আইএসডি-৮, আইএসডি-৩৯,আইএসডি-৪০ লবণাক্ততা সহণশীল ৩টি ইক্ষুর জাত হচ্ছে-
আইএসডি-২৮, আইএসডি-৩৯, আইএসডি-৪০

জলবায়ুজনিত প্রতিকুলতা প্রশমনে পরিবর্তিত জলবায়ু উপযোগী লাগসই প্রযুক্তিগুলো বিশেষ করে লবণাক্ত এলাকা, খরাপ্রবণ এলাকা, নাবি খরাপ্রবণ এলাকা, নাবি বন্যাপ্রবণ এলাকা, ঠান্ডাপ্রবণ এলাকা, অলবণাক্ত জোয়ার-ভাটা এলাকা, মঙ্গাপীড়িত এলাকা ভিত্তিক ফসলের জাত সেইসাথে এলাকাভিত্তিক জনপ্রিয় শস্যবিন্যাসগুলো অনুসরণ করে ধানসহ সকল ধরনের ফসল চাষের মধ্য দিয়ে দেশের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য ও কৃষিপণ্য উৎপাদন বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো আগামীদিনের পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে আরো সহনশীল ও উচ্চফলনশীল বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবন করে যাবে যা ভবিষ্যতের চাহিদা অনুযায়ী দেশের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে, এটাই প্রত্যাশা।

তথ্য সুত্রঃ নাসা, ইউএসএ ইপিএ, আইপিসিসি, ইউএনডিপি, ইফাড, বিএআরআই, ব্রি, বিএসআরআই, এনসিইআই ও অন্যান্য ওয়েবসাইট রিপোর্ট।

লেখক: এগ্রোনমিস্ট ও
কনসালট্যান্ট, গেইন বাংলাদেশ