সমীরন বিশ্বাস: যে কোন ফলকে বেড়ে ওঠার সময় নানা সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। পাক-ভারত উপমহাদেশ তথা আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল আম-এর ক্ষেত্রেও তেমনি নানা সমস্যা মোকাবেল করতে হয়। ফল ছিদ্রকারী পোকা বা Mango weevil বা স্থানীয় নাম ভোমরা পোকা আমের জন্য এক মারাত্মক সমস্যা। সঠিক সময়ে রোগ ও পোকামাকড় দমন করতে ব্যর্থ হলে আমের ফলন অনেক কমে যায়। তবে এসব রোগ ও পোকামাকড় দমনের জন্য সঠিক বালাইনাশক সঠিক মাত্রায়, সঠিক সময়ে, সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ব্যবহার করলে আমের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
Mango weevil দমনে কিছু আলোচনা এগ্রিলাইফের সম্মানিত পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো।
সারা দেশেই এ পোকা আমের ক্ষতি সাধন করে থাকে। একবার এই পোকা গাছে দেখা দিলে পরবর্তীতে উক্ত পোকা আবার একই গাছে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমের বাইরের খোসা দেখলে মনে হয় ভিতরে কোন পোকা নেই অথচ পাকার পরে আম কাটলে ভিতর থেকে পোকা বেরিয়ে আসে। পোকা একবার ভিতরে ঢুকে গেলে তাকে কোনো ভাবেই দমন করা সম্ভব হয় না। আশ্চর্যের বিষয় হলো আমে কোন ছিদ্র থাকে না। এত বড় পোকা কিভাবে আমের ভিতর ঢুকে এবং বেঁচে থাকে তা সত্যিই অবাক করার মত ।
পোকা চেনার উপায় :
১. আমের গুটির মাথায় ছিদ্র দেখা যায়,
২. পোকার মুখে লম্বা শুড় দেখা যায় , কালো রং এর হয়।
৩, পোকা বিটল এবং শক্ত প্রকৃতির হয়
রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা :
আমের ভোমরা পোকা দমন করতে হলে মুকুল আসার আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পোকা দমনের জন্য ফেনিট্রথিয়ন জাতীয় জেনেফেন- জেনেটিকা কীটনাশক প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার ভালভাবে স্প্রে করুন। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পূর্ব-প্রস্তুতি : আম বাগান নিয়মিত চাষ দিয়ে আগাছা মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে,
জৈব ব্যবস্থাপনা:
১,প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রন্ত ফল মাটিতে পুতে ফেলতে হবে।
২,আগাছা মুক্ত, ও বাগান পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে,
৩, সুষম সার মাত্রামত দিতে হবে
৪, নিয়মিত সেচ দিতে হবে
বাগানীদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে তা হলো আমের ভালো ফলন পাওয়ার জন্য পরিচর্যা শুরু করতে হবে আমবাগানে মুকুল বের হওয়ার আগেই।