রোটারিয়ান ড. মো; হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ: রোটারি ইন্টারন্যাশনালের শুরু ১৯০৫ সনে, তার সাত দশক পরে ১৯৭৭ সালে উত্তর বঙ্গ তথা রাজশাহীতে রোটারির যাত্রা শুরু এবং এরও প্রায় অর্ধশত বছর পরে রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রালের জন্ম। এই নবীন ক্লাবের অভিষেক আয়োজন করা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমি এই ক্লাবের সভাপতি হিসেবে অভিষেকের একটি স্বপ্ন দেখি। ক্লাব মেম্বারদের সাথে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। নতুন ক্লাব হিসেবে এর মেম্বার সংগ্রহ, নিয়মিত বাৎসরিক ফি সংগ্রহ এবং জেলা ও আন্তর্জাতিক ফি প্রদান বেশ কষ্টসাধ্য। এই পরিস্থিতিতে ক্লাবে রোটাবর্ষের শুরুর ২য় মিটিং এ রোটারি ক্লাব অব যশোহর ইস্টের পাস্ট প্রেসিডেন্ট মো: আমিনুল ইসলাম শাহিন সহ ৩ জন ও রোটারি ক্লাব অব ঢাকা সিটির চাটার্ড প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান কামরুজ্জামান খান টিপু কে নিয়ে ঘটা করে ক্লাব সমাবেশের আয়োজন করি।
সেই মিটিং এর পরেই শাহীন ভাই এর সাথে বসে ক্লাবের অভীষেক আয়োজনের পরিকল্পনা ও কাদের-কাদের অতিথি করব তা ঠিক করি। এরপর নিয়মিত যোগাযোগ, ক্লাবের সকল সদস্যদের অংশগ্রহন ও সহযোগীতার মনোভাব প্রকাশই আমাকে আরো উৎসাহিত করে। ক্লাবের ডিরেক্টর (টিআরএফ) আলহাজ মো: রফিকুল ইসলাম রিপন কে ইভেন্ট চেয়ার ও প্রফেসর ড. মো: জালাল উদ্দিন সরদারকে প্রোগ্রাম চেয়ার, ক্লাব চাটার্ড প্রেসিডেন্ট কে ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ার, আতিকুর রহমান কে সুভেনির কমিটির চেয়ার, রোটারিয়ান রেজাউর রহমানকে ট্রেজারার ও রেজিষ্ট্রেশন কমিউনিটির চেয়ার এবং সার্বিক সহযোগীতায় রোটারিয়ান মো: মিজানুর রহমান, রোটারিয়ান চৌধুরি মুখলেসুর রহমান সুমন কে নিয়ে আমরা কাজে হাত দেই। দীর্ঘ প্রায় ১ মাসের অক্লান্ত প্ররিশ্রম, বিভিন্ন সময় অসময়ে মিটিং করে অভিষেকের প্রস্তুতি সম্পন্ন করি।
আমাদের অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে রোটারি জেলা ৩২৮১ এর গভর্নর আশরাফুজ্জামান নান্নু, সাবেক গভর্নর ব্যারিষ্টার মুতাসিমবিল্লাহ ফারুকি, রোটারি জেলা ৩২৮২ এর সাবেক গভর্নর আবু ফায়েজ খান চৌধুরী, রোটারি জেলা ৩২৯১ ইন্ডিয়ার সাবেক গভর্নর ঝুলান বসু, সাবেক সেক্রেটারি কল্যান কুমার বোস আগামী ২০২৫-২৬ এর গভর্নর নমিনি ডা. রামেন্দু হোমচৌধুরীর মত খ্যাতনামা রোটারিয়ানদের সমন্বয়ে তৈরি অতিথি প্যানেলের সকলের এক সঙ্গে আগমন ঘটে। ফলে রোটারির ইতিহাসে দেশের ভিতর একাধিক রোটারি জেলা ও দেশের বাইরের রোটারি আন্তর্জাতিক জেলার ব্যাক্তিবর্গদের নিয়ে রাজশাহী জেলায় আয়োজন নি:সন্দেহে একটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে পরিনত হয়। এছাড়া ভারতের ৩টি ক্লাবের সদস্য, পাবনা ক্লাব, রংপুর ক্লাব, নারায়নগঞ্জ ক্লাব, গাজীপুর ক্লাবের সদস্য, রাজশাহীর সকল ক্লাবের সদস্য এবং ঢাকার প্রায় ২০ টি ক্লাবের সদস্যদের আগমনে রাজশাহী শহর রোটারি শহরে পরিনত হয়েছিল।
এই অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রত্যক্ষ সহযোগী হিসেবে ছিলেন রোটারিয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, যশোহর ইস্ট ক্লাব, রোটারি ক্লাব উত্তরার পাষ্ট প্রেসিডেন্ট ডা. এম. এ.এইচ জাহিদুল ইসলাম রোমেল, রোটারি ক্লাব অব ঢাকা সিটির চাটার্ড প্রেসিডেন্ট মো: কামরুজ্জামান খান টিপু, রোটারি ক্লাব অব ঢাকার পাষ্ট প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান আর আই রাওলি, রোটারি ক্লাব অব মেট্রোপলিটন খুলনার পাষ্ট প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আবু সাঈদ এবং আমার বন্ধু ডা. রাকিবুজ্জামান চৌধুরী সৈকত, ক্লাব চাটার্ড সভাপতি হাসিবুল হাসান নান্নু, আলহাজ রফিকুল ইসলাম রিপন, রোটারিয়ান মো: মহসিন আলী, রোটারিয়ান মো: মিজানুর রহমান, রোটারিয়ান চৌধুরী মুখলেসুর রহমান,অপসোনিন ফার্মা, সিনিল ফার্মা এর ডা. তাপস কুমার ঘোষ এবং ব্র্যাক এ আই এন্টারপ্রাইজের ডা. মো: মতিউর রহমান।
এই সুন্দর আয়োজনের ফলে রাজশাহী অঞ্চলে রোটারির অগ্রযাত্রার এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে অনুষ্ঠান পরবর্তী বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অভিমত পোষন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আশা করি রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রালের দ্বারা রোটারি উত্তরবঙ্গ তথা রাজশাহী অঞ্চলে নতুন সূর্যের আগমন এবং যুগের সুচনা হবে।
লেখক:-প্রেসিডেন্ট, রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল, রাজশাহী।