এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, যতবেশি হাফেজ তৈরি হবে বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ততবেশি উজ্জ্বল হবে। আজ বিকালে রাজধানীর উত্তরায় হোটেল প্যান ডি এশিয়ায় হাফেজে কোরআন সম্মাননা ও দোয়া অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী একথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, হাফেজগণ কোরআনের বাহক। একেকজন হাফেজ একেকটি কোরআন। আমাদের দেশের কুরআনের হাফেজগণ প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় স্থানসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছে। এর ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। তিনি বলেন, হাফেজে কোরআনদের সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে হাফেজদের সম্মানিত করা হলে তারা আরো বেশি উদ্বুদ্ধ হবে।
একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ধর্মমন্ত্রী বলেন, কোরআন তেলাওয়াত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যারা দুনিয়াতে কোরআন শিখবে এবং সেমতো আমল করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক তাদেরকে বিশেষভাবে সম্মানিত করবেন। সুতরাং কোরআনের হাফেজদের সম্মাননা দেওয়া নিঃসন্দেহে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ একটি কাজ। তিনি কোরআনের হাফেজদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
সহীহ্ ও শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত উল্লেখ করে ধর্মমন্ত্রী বলেন, সহীহ্ ও শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে আমাদের বেশি বেশি মনোযোগ দিতে হবে। তিনি সংবর্ধিত কুরআনের হাফেজদেরকে কুরআনের বিধান নিজেদের জীবনে প্রতিপালনের পাশাপাশি অন্যান্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ জানান।
সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফসার উদ্দিন খান, দীপ নীটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম সিআইপি, উত্তরার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল আউয়াল প্রমূখ বক্তব্য প্রদান করেন।
এ অনুষ্ঠানে মোট ৬১জন কুরআনের হাফেজকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।