ইসলামিক ডেস্ক: দেখতে দেখতে মহিমাময় মাস রমজান প্রায় শেষের দিকে। আজ ২২ রমজান অবশিষ্ট এ দিনগুলোতে কীভাবে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে তোলা যায়, সেটাই হওয়া রোজাদার মুমিন মুসলমানের লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের শেষ দশকের রাতগুলোতে মহান আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করতেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, ‘রমজানের শেষ দশকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবাদতের জন্য শক্ত করে কোমর বেঁধে নিতেন। সারা রাত ইবাদতের জন্য জাগ্রত থাকতেন। স্বীয় পরিবার-পরিজনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিতেন।’ (বুখারি ২০২৪)
এসময় কোরআন তেলাওয়াতের ধারাবাহিকতা বৃদ্ধি করা। পারিবারিক বা অন্য কোনো ব্যস্ততার কারণে যাদের তেলাওয়াতের সময় মিলে না, তারা নফল নামাজ কমিয়ে তেলাওয়াতে বেশি সময় দিতে পারে। বিখ্যাত ফকিহ ইবনু শিহাব জুহরি সম্পর্কে বর্ণিত আছে, রমজান এলে তিনি বলতেন, ‘এটা তো কোরআনের মাস এবং লোকজনকে আহার করানোর মাস।’ তিনি রাতদিন নিজেকে তেলাওয়াতে ব্যস্ত রাখতেন।
উল্লেখ্য, নফল আমলের মধ্যে কোরআন তেলাওয়াত সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। তাই যত বেশি সম্ভব, কোরআন তেলাওয়াতে নিজেকে ব্যস্ত রাখাটাই মহিমান্বিত এ মাসের শেষ দশকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হওয়া চাই। আসুন আমরা বেশি বেশি অর্থসহকারে কোরআন তেলাওয়াৎ করি এবং ইসলামের বিধান অনুযায়ী জীবনযাপন করি। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে সুপথে চালিত করুন।-আমিন