মাহফুজুর রহমান: মসজিদে নববীর পূর্ব পাশে জান্নাতুল বাকী নামক কবরস্থান। যেখানে প্রায় দশ হাজার সাহাবার কবর আছে বলে বর্ণনায় পাওয়া যায়। হযরত ওসমান (রাঃ) এর কবর এখানে। এছাড়া হযরত খাদিজা (রাঃ) ও হযরত মায়মূনা (রাঃ) ব্যতিত রাসূল (সঃ) এর অন্য স্ত্রীদের কবর এই জান্নাতুল বাকীতে। ফজরের পরে এবং আসরের পরে কবরস্থান সবার যিয়ারতের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। বাহিরে পুলিশ অবস্থান করে এবং ভেতরেও শক্তভাবে নজরদারি করা হয়, কোনো প্রকার বেদাতি কাজ শুরু করলে, তা শক্ত হাতে দমন করা হয়। আমরা মদিনা থেকে চলে আসার ঠিক আগের দিন ফজরের পর জান্নাতুল বাকী যিয়ারাহ করার সৌভাগ্য লাভ করি।
সবকিছুরই শেষ আছে বলে একটি কথা প্রচলিত আছে। ঠিক সেভাবেই আমাদের এই স্বপ্নময় বাস্তব সফরের ও শেষলগ্নে পৌছেছি আমরা। ১৬ই মে সকাল ১১.১৫ মিনিটে জেদ্দাহ বিমানবন্দর থেকে আমাদের ফ্লাইট। বিদায়ের এই ক্ষণ টি আমাদের জন্য ছিলো সত্যই অনেক বেশি বেদনার। রাসুল (সঃ) এর শহর ছেড়ে চলে আসা আমাদের জন্য ছিলো অত্যন্ত কষ্টের। তবুও আমাদের যেতে হবে। এটাই পৃথিবীর নিয়ম।
যাবার আগে মসজিদে নববীতে রিয়াজুল জান্নাহ’র পাশে বসে আল্লাহর কাছে দোয়া করছি। হে আল্লাহ এই পবিত্র শহরে তুমি আমাকে আবার আসার তাওফিক দাও। বারবার যেন তোমার হাবিবের রওজা জিয়ারাহ করতে পারি সে সুযোগ তুমি করে দাও। তোমার কাবায়, তোমার হাজরে আসওয়াদে যেন বারবার চুম্বন করতে পারি সেই সুযোগ তুমি এই অধমকে করে দিও। মসজিদে নববী, খানায়ে কাবায় বসে থাকারও যে প্রশান্তি সেটি থেকে তুমি আমাকে দূরে সরিয়ে রেখোনা। বারবার যেন এই প্রশান্তি হৃদয়ে ধারণ করতে পারি সেই সুযোগ চাই তোমার কাছে। তুমি কবুল করো এ বিশ্ব জাহানের রব হে কাবার মালিক। (সমাপ্ত)
মাহফুজুর রহমান
জেনারেল ম্যানেজার, এগ্রোভেট ফার্মা
প্রফেশনাল লেখক না হওয়ায় লেখাতে যে কোন ক্রুটি মার্জনীয়