ইসলামিক ডেস্ক: বর্তমান সময়টি এমনই কমবেশি সবাই আমার মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। এটি যেন এখন দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই মানসিক প্রশান্তি লাভে সালাতের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও কোরআন হাদিসের আলোকে মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের বেশি বেশি হাদিস-কুরআন পড়তে হবে এবং আমাদের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
যেকোনো বিপদ-মুসিবত, পেরেশানির সময় সালাতের মাধ্যমেই প্রকৃত প্রশান্তি লাভ কর যায়। কেননা, সালাতের মাধ্যমেই বান্দা মহান আল্লাহর সাহায্য লাভ করে থাকে। রাসূলুল্লাহ সা: কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে সালাত আদায় করতেন। (আবু দাউদ) সাহাবায়ে কেরামও এ আমলে অভ্যস্ত ছিলেন। ছোট থেকে ছোট কোনো বিষয়ের জন্যও তারা সালাতে দাঁড়িয়ে যেতেন।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন ‘যারা ঈমান আনে ও আল্লাহর স্মরণে তাদের অন্তর প্রশান্ত হয়। জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণেই শুধু হৃদয় প্রশান্ত হয়।’ (সূরা রাদ-২৮)
মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত দোয়া করাও উচিত। কারণ হাদিসে দোয়াকে ইবাদতের মূল বলা হয়েছে। দোয়া বা প্রার্থনা করলে, কোনো কিছু চাইলে মহান আল্লাহ খুশি হন। না করলে বরং অসন্তুষ্ট হন। তবে দোয়ার ক্ষেত্রে হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলোকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত।
রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘আমি এমন একটি দোয়া সম্পর্কে জানি, কোনো বিপদে পড়া লোক যদি তা পড়ে তবে আল্লাহ সে বিপদ দূর করে দেন। সেটি হচ্ছে- আমার ভাই ইউনুস আ:-এর দোয়া। তা হলো, লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জালিমিন। অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই; আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিঃসন্দেহে আমি জালেমদের অন্তর্ভুক্ত।’ (তিরমিজি)
আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘তোমরা সালাত ও ধৈর্যের মাধ্যমে আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সেসব বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।’ (সূরা বাকারা-৪৫)
আনুন বেশি বেশি নেক আমল করি, ধৈর্যথারণ করি। নিশ্চয়ই তিনি যিনি অসীম দয়ালু ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ আমাদের সকল বিপদ-মুসিবত, পেরেশানি থেকে মুক্ত রাখবেন।-আমিন