ইসলামিক ডেস্ক: ইসলাম মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়। সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে এবং বিপদে সহমর্মিতা জানাতে শেখায়। আমাদের কোনো আত্মীয়স্বজন, পাড়া-পড়শি কিংবা বন্ধু মহলের কেউ অসুস্থ হয় তখন আমাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। তাকে দেখতে যাওয়া, তার সেবা করা এবং সার্বিক খোঁজখবর নেয়া আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
ইসলামে রোগী দেখতে যাওয়াকে সুন্নত বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সা: থেকে এ ব্যাপারে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেন, ‘এক মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের পাঁচটি হক রয়েছে। ১. সালামের জবাব দেয়া ২. হাঁচির উত্তর দেয়া ৩. দাওয়াত কবুল করা ৪. অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া ও ৫. জানাজায় অংশগ্রহণ করা’ (বুখারি-১২৪০, মুসলিম-২১৬২)।
অন্য এক হাদিসে হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা: বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা রোগী দেখতে যাও এবং জানাজায় অংশগ্রহণ করো, কেননা তা তোমাদেরকে পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে’ (মুসনাদে আহমদ-৩/৪৮)।
এ ছাড়া হাদিসে কুদসিতে এসেছে, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে দেখতে যাওনি। বান্দা বলবে, আপনি তো বিশ্বজাহানের প্রতিপালক, আমি আপনাকে কিভাবে দেখতে যেতে পারি? আল্লাহ বলবেন, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল। তুমি যদি তাকে দেখতে যেতে তাহলে আমাকে সেখানে পেতে...’ (মুসলিম-২৫৬৯)।
রোগী দেখার অনেক ফজিলতের কথাও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আলী রা: বর্ণনা করেন, আমি রাসূল সা:কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি সকালবেলা কোনো অসুস্থ মুসলমানকে দেখতে যায়, তার জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা বিকেল পর্যন্ত দোয়া করতে থাকে। আর বিকেলে রোগী দেখতে গেলে সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা দোয়া করতে থাকে...’ (তিরমিজি-৯৬৭)।
তবে রোগীর কাছে বেশি সময় অবস্থান করলে রোগীর সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকলে স্বল্প সময় অবস্থান করা শ্রেয়।হজরত সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব রহ: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রোগী দেখার উত্তম পন্থা হলো, তাকে দেখে দ্রুত ফিরে আসা (শুয়াবুল ঈমান-৯২২২)।
মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলের উপর রহম করুন।-আমিন