ইসলামিক ডেস্ক: আমানতদারিতা একটি মহৎ গুণ। ইসলামে আমানতদারির গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘আর তোমরা জেনেশুনে নিজেদের আমানতের খিয়ানত করো না।’ (সূরা আনফাল-২৭) আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘একজন বিশ্বস্ত ফেরেশতা তা নাজিল করেছে।’ (সূরা আশ শুয়ারা-১৯৩)
মহানবী সা: বলেন, ‘মুনাফিকের আলামত তিনটি- ১. যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে; ২. যখন ওয়াদা করে এর বরখেলাপ করে এবং ৩. যখন তার কাছে আমানত রাখা হয়, এতে খিয়ানত করে।’ (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত পৃষ্ঠা-১৭)
বর্তমান সমাজে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই গুণটি ব্যাপকভাবে লোপ পেয়েছে। প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মধ্যে বাল্যকাল থেকেই আমানতদারিতার গুণ সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। যার কারণে তৎকালীন আরবের লোকেরা তাকে ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বাসী উপাধি দিয়েছিল। কেননা তারা তাদের মালামাল ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্য নবীজির কাছে রাখতেন। অতঃপর নবীজি তা যথাযথভাবে প্রাপকের কাছে সময়মতো বুঝিয়ে দিতেন।
আসুন আমরা আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ ও আমাদের প্রিয় নবীর আদর্শ মেনে চলি। ইহকাল ও পরকালে ভালো থাকি। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলের নেক আমল করার তাওফিক দিন।-আমিন।