বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর বীজ পরীক্ষাগার আধুনিকীকরণ শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: কৃষি তথ্য সার্ভিস, খুলনার সেমিনার কক্ষে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, খুলনা অঞ্চলের উদ্যোগে’কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও জেলা বীজ পরীক্ষাগার আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে এক মতবিনিময় সভা আজ শনিবার (১৮ মে) অনুষ্ঠিত হয়।

বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আজগর আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, দৌলতপুর, খুলনার অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মোঃ নূরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, সদর দপ্তরের উপপরিচালক (অর্থ ও হিসাব) কৃষিবিদ ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম। প্রকল্পটিতে প্রস্তাবিত বিভিন্ন কার্যক্রম পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে আলোচনা করেন বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, সদর দপ্তরের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন উইংয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শওকত হোসেন ভূঁইয়া।

প্রধান অতিথি নূরুল ইসলাম বলেন, মান সম্পন্ন বীজের চাহিদা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বীজ অনুমোদন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী হিসেবে নামকরণ করা হয়। বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর ভিশন বা রুপকল্প হলো- মানসম্পন্ন বীজের নিশ্চয়তা। আর মিশন হলো- উচ্চ গুনাগুন সম্পন্ন ও প্রতিকুলতা সহিষ্ণু জাতের মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন ও বিতরনে উৎপাদনকারীদের প্রত্যয়ন সেবা প্রদান এবং মার্কেট মনিটরিং কার্যক্রম জোরদারকরণের মাধ্যমে বীজের মান নিশ্চিতকরণ।

তিনি বলেন, ফসলের সর্বোচ্চ ফলন পেতে হলে ভাল বীজ প্রয়োজন। সীমিত জনবল ও সুযোগ ব্যবহার করে সেই মানসম্পন্ন বীজের প্রত্যয়নের কাজটি বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী করে যাচ্ছে। বিশেষ অতিথি কৃষিবিদ ড. সাইফুল বলেন, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর কার্যক্রম জোরদারকরণে মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও জেলা পর্যায়ে মানসম্পন্ন পরীক্ষাগার আধুনিকীকরণ ও জেলা অফিস স্থাপন করা হবে।

তিনি বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীকে শক্তিশালী করার জন্য জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসারদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা কাজে লাগিয়ে প্রকল্প/কর্মসূচী প্রণয়নের জন্য আহবান জানান। প্রস্তাবিত প্রকল্পের ফোকাল পার্সন কৃষিবিদ শওকত ভ‚ঁইয়া বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) এর লক্ষ্যমাত্রা ২ নং মোতাবেক ২০৩০ সালের মধ্যে প্রত্যায়িত বীজের পরিমান ৪,০০,০০০ মে.টনে উন্নীতকরণে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি খুবই প্রয়োজন।

অন্যান্যের মধ্যে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর সাবেক পরিচালক কৃষিবিদ সুধেন্দু মালাকার, খুবি এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. বিধান কুমার, সাবেক আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আলাউদ্দিন ও কৃষিবিদ পরেশ কুমার রায়, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যক্ষ ড. এস এম ফেরদৌস, মাগুরা জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার ড. মোঃ মোশারফ হোসেন, অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মিজান মাহমুদ ও সুবীর কুমার বিশ্বাস, বিএডিসি’র উপরিচালক (বীজ বিপণন) দীপংকর মন্ডল, লবণচরা মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার ফরহ দিবা সামশ প্রমুখ উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে প্রস্তাবনা পেশ করেন।

মতবিনিময় সভায় বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর খুলনা অঞ্চলের জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার ও বীজ প্রত্যয়ন অফিসারগন, ব্রি ও বারি-এর বিজ্ঞানীগন ও প্রাইভেট সেক্টরের বীজ উৎপাদকদের প্রতিনিধিগন অংশগ্রহণ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহকারী আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ ড. রুবায়েত আরা।