মৎস্য চাষে "ওয়াটার কেমিস্ট্রি" অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ-সাইফি নাসির

এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: শীতের শুরুতে মৎস্য খামারগুলোতে আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন আর বি এগ্রো লিমিটেড (কেজিএস গ্রুপ)-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (ফিশ ফিড) ও পুষ্টিবিদ সাইফি নাসির। তিনি বলেন, মৎস্য চাষে ওয়াটার কেমিস্ট্রি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে শীত মৌসুমে পানির রাসায়নিক গুণাগুণ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করলে চাষাবাদে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

তিনি জানান, পানির পিএইচ, অ্যামোনিয়া, নাইট্রেট, স্যালাইনিটি এবং হার্ডনেস নিয়মিত পরীক্ষা করে মানসম্মত পর্যায়ে রাখার এখনই সঠিক সময়।কারণ ঠান্ডার সময় মাছ খাবার গ্রহণ কমিয়ে দেয় এবং হজমশক্তি হ্রাস পায়, ফলে রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, শীত শুরু হওয়ার আগেই প্রোবায়োটিক ব্যবহারের উপযুক্ত সময় এখন। কারণ ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রোবায়োটিক সর্বোচ্চ কার্যকারিতা দেখায় এবং পানির গুণগত মান উন্নয়নে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে বাজারে সহজলভ্য বিভিন্ন মানসম্মত প্রোবায়োটিকের পাশাপাশি ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রিবায়োটিক, প্রোবায়োটিক ও পোস্টবায়োটিকসমৃদ্ধ ফিড বাজারজাত করছে, যা মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উৎপাদন খরচ কমাতে সহায়ক।

সাইফি নাসির আরও বিশেষভাবে বলেন, শীতকালে এসময় উকুননাশক, জীবাণুনাশক, চুন এবং লবণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে খামারি‌দের বাড়তি সচেতন থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে অভিজ্ঞ মৎস্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। শীতের সময় সঠিক প্রস্তুতি নিলে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে মাছের বাজারমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিরা বাড়তি লাভবান হতে পারেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সাইফি নাসির বলেন, আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৎস্যচাষে সফলতা অর্জনের জন্য মানসম্মত ফিড ব্যবহারের বিকল্প নেই তাই “ব্যবহারে চেরিশ ফিশ ফিড সাফল্য নিশ্চিত” এই ধারণা এখন শুধু স্লোগান নয়, বাস্তবতার প্রতিফলন।