মো: দেলোয়ার হোসেন :গত ১৪ই অক্টোবর/২০২৫ নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে ধান ফসলে মাজরা, ব্লাষ্ট ও বাদামী গাছ ফড়িং দমনে উদ্বুদ্ধকরণ বৈঠক ধামইরহাট পৌরসভা বøকের উত্তর চকযদু পার্টনার ফিল্ড স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।
ধামইরহাট উপজেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অভিজিৎ কুমার কুন্ডুর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: তৌফিক আল জুবায়ের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর রাব্বি এবং উপ সহকারী কৃষি অফিসার মো: মাসুদ রানা।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন সবচেয়ে বড় চালেঞ্জ। এই চালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদেরকে জৈবিক ভাবে পোকামাকড় দমনে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করতে হবে। ধান ফসলের মাজরা পোকা, ব্লাষ্ট ও বাদামী গাছ ফড়িংসহ অন্যান্য পোকা ও রোগ দমনে জৈবিক ব্যবস্থা হিসাবে ডাল পুতে পার্চিং ও আলোর ফাঁদ এর ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ফসলে পরিমিত মাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ, পর্যাপ্ত জৈব সার বা কম্পোষ্ট সার প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে ফসলকে রোগ ও পোকার হাত থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। তিনি উপস্থিত সকল কৃষককে পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে ধানের পোকা দমনে জৈবিক ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান এবং কৃষি অফিসের সর্বাত্বক সহযোগীতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথিগণ বলেন, এক সময় সাদা সার হিসেবে ইউরিয়া সার গোপনে কৃষকের জমিতে ছিটিয়ে দেয়া হতো। অথচ এখন কৃষক অধিক হারে রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে মাটির অ¤øত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় অধিক পরিমান রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করায় নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পরিমিত সার প্রয়োগ ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের অনুরোধ জানান।
সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, অধিক পরিমানে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হলে মাটির গুনগতমান নষ্ট হয়। তাই জমিতে সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করার অনুরোধ জানান।
উক্ত উদ্বুদ্ধকরণ বৈঠকের মাধ্যমে চকযাদু পার্টনার স্কুলের উদ্বোধন হয় এবং উক্ত বৈঠকে গ্রামের আরো কৃষকদের নিয়ে ধানে পরিমিত সার ব্যবহার, মাজরা পোকা, লেদা পোকা, বøাষ্ট ও বাদামী গাছ ফড়িং দমনসহ প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়।
উদ্বুদ্ধকরণ বৈঠকে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিকসহ প্রায় ২০০ জন কৃষক-কিষাণী উপস্থিত ছিলেন।