এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: কেজিএফ-এর অর্থায়নে রাবির নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পাসে রাবির সহযোগিতায় খামারীদের মাঝে ভেড়া বিতরণ কর হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পাসে "Up-scalling of smale scale sheep rearing model for lamb production in Barind area"-শীর্ষক প্রকল্পের চারজন খামারীকে বিনামূল্যে পাঁচটি করে ভেড়া সরবরাহ করা হয়।
প্রতিষ্ঠাতা ডীন, ভেটারিনারী এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ এবং আপ স্কেল অফ স্মল স্কেল শিপ হিয়ারিং মডেল ফর ল্যাম্ব প্রোডাকশন ইন বারিন্দ এরিয়া প্রকল্প এর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর রোটারিয়ান প্রফেসর ডঃ মো. জালাল উদ্দিন সরদার-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেজিএফের সিনিয়র স্পেশালিস্ট ( প্রাণিসম্পদ), বিআরসি, ঢাকা এর ড. এরশাদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম কামরুজ্জামান এবং ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, প্রধান প্রকৌশলী, রাবি। উপস্থিত ছিলেন কো- পিআই প্রফেসর ডঃ মোঃ আখতারুল ইসলাম এবং রোটারিয়ান ডঃ মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডা. আল হেলাল মন্ডল সহ ব্র্যাকের এ আই সেচ্ছাসেবী ও প্রকল্পের ফিল্ড সহকারী মো. জাহিদ, খন্ডকালইন একাউটেন্ট মো. শাহারুল ইসলাম ও অনেকেই।
প্রধান অতিথি বলেন যারা একটি নিরীহ প্রাণী এর মাংস সুস্বাদু এবং প্রায় সকল বয়সী মানুষের জন্য উপযোগী কাজেই এর উৎপাদন বাড়িয়ে আমাদের আমিষের চাহিদা পুরনো লক্ষে আপনারা খামারি যারা কাজ করছেন তাদের ভালোভাবে লালন পালনের ফলে আপনার যেমন স্বাবলম্বী হবেন পাশাপাশি দেশ ও স্বনির্ভর হবে ।
বিশেষ অতিথি প্রফেসর ডঃ এস এম কামরুজ্জামান বলেন, বিশ্বব্যাপী উন্নয়নকে ধরে রাখতে এবং উন্নত দেশ গড়তে প্রতিটি দেশী গবেষণায় বেশি বিনিয়োগ করে থাকেন, আমাদেরও উচিত হবে গবেষণায় অধিক পরিমাণ বিনিয়োগ করা।
বিশেষ অতিথি ইঞ্জিনিয়ার আজাদ বলেন, আমি যদিও এই সেক্টরের লোক না, তবে ভেড়ার মাংস খেয়ে দেখেছি এর যথেষ্ট স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কাজে এর উৎপাদন বাড়ানো এবং গবেষণার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে যেন গবেষণা বান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা যায় ।
কো-পিআই প্রফেসর আখতারুল ইসলাম বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের ভেড়া বেস্ট কোয়ালিফিক বছরে দুইবার করে একটি থেকে তিনটি পর্যন্ত বাচ্চা প্রদান করে যার ফলে খামারীরা যদি সময় মত সঠিক উপায়ে পরিচর্যা করতে পারেন তবে এই বাচ্চাই সম্পদে পরিণত করতে পারবেন।
কো-পিআই ড. আরিফ বলেন, ভেড়ার মাংসকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে ইতিপূর্বে যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল তার মাধ্যমে অত্র অঞ্চলে ব্যাপক ভেড়ার মাংসের চাহিদা লক্ষ্য করা গেছে । সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তা এবং খামারীদেরকে ভেড়ার মাংস উৎপাদনে এগিয়ে আসতে হবে। তবে এর বাজার ধরে রাখা সম্ভব হবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর সরদার বলেন বর্তমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশেষ করে উপাচার্য, উপ উপাচার্য প্রত্যেকেই গবেষণা বান্ধব এবং গবেষণার জন্য প্রকৃত গবেষকদের বিভিন্নভাবে উৎসাহ প্রদান করে আসছেন। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখার পক্ষপাতী নন। কাজেই আমাদের মেধা কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ উৎপাদন করা লক্ষে একযোগে সকলকে কাজ করতে হবে।