এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: বিজ্ঞানীরা কখনো সাটিসফাইড হবে না। সেটিসফেকশন ইজ ডেথ ফর সাইন্টিস্ট। বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন জ্ঞানের মধ্যে সব সময় থাকতে হবে, পড়াশোনার মধ্যে থাকতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে ম্যাসিভ পরিবর্তন আনতে হবে, প্রোডাকটিভিটি বাড়াতে হবে। জিন এডিটেড জাত উদ্ভাবন করতে হবে। দেশকে কি দিতে পারলাম, সেটা সব সময় ভাবতে হবে।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিএলআরআই এর মূল কেন্দ্র সাভারে অনুষ্ঠিত ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৩’ সমাপনী অনুষ্ঠানে বিএলআরআইতে নবনিযুক্ত বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।
ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। সারা পৃথিবী এই উন্নয়নকে স্বীকার করে, এর প্রশংসা করে, এর পিছনের কারণ জানতে চায়। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নের পিছনে কাজ করেছে তিনটি জিনিস। একটি হলো সরকারের কমিটমেন্ট-ইচ্ছা, দ্বিতীয় হলো প্রযুক্তি আর তিন নম্বর হলো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো-নেটওয়ার্কিং।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সমাপ্ত গবেষণাসমূহের ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালাটির সমাপনী ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত অতিরিক্ত সচিব জনাব এটিএম মোস্তফা কামাল। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বর্তমান মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই দুইদিনব্যাপী চলা এই কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রাণী উৎপাদন গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বিপ্লব কুমার রায়।
উক্ত আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিএলআরআই-এর সাবেক মহাপরিচালকগণ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আগত সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণী ও পোল্ট্রি উৎপাদন ও খামার ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত বিশেষজ্ঞ এবং সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিএলআরআই-এর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।