এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড(বিসিসিটি) এর অর্থায়নে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে গবেষণামূলক ও উদ্ভাবনী প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এছাড়াও, অধিক জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রকল্প গ্রহণ করা যায় তার যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন, নীতিমালা, বিধিমালা প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি ) সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত ৪৫টি প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপনের নিমিত্তে আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ সচিব এসব কথা বলেন।
পরিবেশ সচিব বলেন, বিসিসিটির কার্যক্রমকে জনগণের কাছে আরো গ্রহণযোগ্য করতে বিশেষজ্ঞগণের সুপারিশের ভিত্তিতে বিসিসিটি এবং মন্ত্রণালয় অবিলম্বে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি এসময় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প শেষ হওয়ার পরেও উদ্যোগী সংস্থাকে এধরনের কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
৪৫টি প্রকল্প মূল্যায়নের চূড়ান্ত খসড়া প্রতিবেদন সুপারিশসহ বিস্তারিত উপস্থাপন করেন মূল্যায়ন টিমের টিম লিডার বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ। তিনি বলেন, বিসিসিটির অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলিকে BCCSAP, 2009-এ নির্ধারিত বিষয়ভিত্তিক লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে হবে৷ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং প্রশমন প্রকল্পগুলিতে আরও ভাল ফলাফল অর্জনের জন্য, প্রস্তাব প্রাপ্তি থেকে শুরু করে পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন এবং রিপোর্টিং পর্যন্ত বিসিসিটিকে অবশ্যই প্রকল্প পরিচালনা কার্যক্রমগুলিকে স্ট্রীমলাইন করার জন্য দ্রুত কাজ করতে হবে৷ বিসিসিটির ফান্ড ব্যবহার নির্দেশিকা সহ সংশ্লিষ্ট আইন দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করতে হবে। দেশের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করা, সেইসাথে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার সাথে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমণ হ্রাসে অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রকল্প বা কর্মসূচির অনুমোদন থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত এর কার্যকারিতা এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: জয়নাল আবেদিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড আইনুন নিশাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পরামর্শক টিমের সদস্যবৃন্দ এবং উপস্থিত বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।