এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি মধ্যযুগীয় কায়দায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল এবং ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। ২০০১ সালে একটি নীলনকশার নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। ধর্মান্ধ, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতকে সাথে নিয়ে ক্ষমতায় এসেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর বিএনপি মধ্যযুগীয় কায়দায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। চরম নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড শুরু করে। আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। তাদের এই অত্যাচার-নির্যাতনের ইতিহাস আরব্য রজনীর গল্পের মতো এক হাজার এক রাতেও বলে শেষ করা যাবে না।
আজ মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর গ্রিন রোড স্টাফ কোয়ার্টার মাঠে ধানমন্ডি, কলাবাগান ও নিউ মার্কেট থানাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী বলেন, ভিক্ষার মনোবৃত্তি নিয়ে বিএনপি দেশ চালিয়েছিল। ক্ষমতায় থাকতে তারা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চেষ্টা করে নি, কারণ তাদের সেই সময়ের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলে বেড়াতেন যে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ কারও উপর, কোন বিদেশি শক্তির উপর নির্ভরশীল না। বিএনপির মতো ভিক্ষার মনোবৃত্তি নিয়ে দেশ চালায় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরকে খুবই সফল ও ফলপ্রসূ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের অমীমাংসিত সমস্যার বেশিরভাগেরই সমাধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই অচিরেই তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তিও সম্পন্ন হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আপনারা ক্ষমতায় থাকাকালে ভারতের সাথে বাংলাদেশের একটি সমস্যারও সমাধান করতে পারেন নি। আগামী দিনেও ভারত থেকে কিছু আনতে পারবেন না।
ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির এবং ধানমন্ডি, কলাবাগান ও নিউ মার্কেট থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।