এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:WRF মডেল হতে প্রাপ্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ ২৫ অক্টোবর হতে ২৯ অক্টোবর) ০৫ দিন বাংলাদেশের কোন জেলাতেই মাঝারি কিংবা ভারি বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। তবে বরিশাল ও খুলন বিভাগের কোন-কোন জেলায় খুবই সামান্য কিছু বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পরবর্তী আমন ফসল রক্ষার জন্য আবহাওয়া ভিত্তিক ধান উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়েছে এগ্রোমেটিওরোলোজি এন্ড গ্রুপ মডেলিং ল্যাব, ব্রি, গাজীপুর।
- ধানের এই অবস্থায় জমিতে সার ও সেচ দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। ধান আধা পাকা বা পাকার কাছাকাছি থাকে জমি হতে অতি দ্রুত পানি সরিয়ে ফেলতে হবে।
- সেচ নালা পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে ধানের জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে
- শামা বা ফুল্কা আগাছায় এই সময় ফুল আসে। শামা বা ফুল্কা আগাছা উঠেয়ে ফেলতে হবে
- ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যদি ধান নুইয়ে পড়ে সম্ভব হলে ৫-৬ টি ধানের গোছা একসাথে রশির সাহায্যে বেধেঁ দিয়ে খাড়া করে রাখতে হবে এতে ফলনে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা কম থাকে এবং ধান পরিপুষ্ট হবে।
- ধান গাছের বর্তমান বৃদ্ধি পর্যায়ে সুগন্ধি জাতে শিষ ব্লাস্ট এবং সংবেদনশীল জাতে (যেমন: ব্রি ধান৪৯, ব্রি ধান৭৫, ধান৭৯) লক্ষির গু রোগ দেখা দিতে পারে। আর এ রোগ দু'টি একবার হয়ে গেলে আর দমন করা যায় না। তাই বৃষ্টি কমলেই শিষ ব্লাস্ট রোগের জন্য ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ট্রুপার প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৮ গ্রাম ঔষধ অথবা স্টুবিন গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: নাটিভো প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৬ গ্রাম ঔষধ ভাল ভাবে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতাংশ জমিতে ৭ দিন ব্যবধানে ২ বার বিকাল বেলা স্প্রে করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন স্প্রে করার পরপরই বৃষ্টিতে ঔষধ ধুয়ে না যায়। একই ভাবে লক্ষির গু রোগের জন্য প্রোপিকোনাজল গ্রুরপর ছত্রাকনাশক যেমন টিল্ট রোগ হওয়ার আগেই প্রয়োগ করতে হবে।
- তাছাড়া ঝড়-বৃষ্টির কারনে ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতাপোড়া রোগ দেখা দিতে পারে। ধানের ফুল আসার পর এ রোগটি দেখা দিলে ফলনের তেমন কোন ক্ষতি হয় না।
কাটা ফসল নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ নিয়ে ঝাড়াই ও মাড়াই করুন।