এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে ২০২৩ সালে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকার এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। কাজেই, আমি মনে করি, বিএনপি এখন যতই বলুক নির্বাচনে আসবে না, সময় হলে তারাসহ সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর নটরডেম কলেজ প্রাঙ্গণে কারিতাস বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যে কোন মূল্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ধর্মের নামে কিছু জঙ্গি, ধর্মান্ধ, বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে, সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে । একইসাথে, নির্বাচনে যাবে না বলে আন্দোলন সংগ্রামের নামে বিএনপি নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি চেষ্টা করছে। কাজেই, এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায়। কাজেই, সরকারের মৌলিক দায়িত্ব রাজনৈতিক সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। সরকার যে কোন মূল্যে এটি করবে। বিএনপির নাশকতা করতে চাইলে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।
কারিতাস বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য বেসরকারি কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কারিতাস বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। কারিতাস বাংলাদেশ আগামী দিনে তাদের সেবাধর্মী কর্মকাণ্ডের আরও বিস্তৃতি ঘটাতে সক্ষম হবে-এ প্রত্যাশা করি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। আমাদের এ অঞ্চলের কৃষি প্রকৃতিনির্ভর। অকাল বন্যা আসে, খরা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসল উৎপাদন বিঘ্নিত হয়। এসব কাটিয়ে উঠে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছি প্রধানমন্ত্রীর কৃষিবান্ধব নীতির কারণে।
ভালবাসা ও সেবায় ৫০ বছরের পথ চলা এই মূলসুরে আয়োজিত কারিতাস বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে আর্চবিশপ বিজয় এন. ডিক্রুজ, কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, কারিতাসের প্রেসিডেন্ট জেমস রমেন বৈরাগী, নির্বাহী পরিচালক সেবাস্তিয়ান রোজারিও, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাশেদা কে. চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।