রাজধানী প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ বলেছেন, বর্তমান সময়ে ফুড সেফটি নিশ্চিত করাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এটি অসম্ভব নয় এবং এটি করতে সরকার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।খামার থেকে খাবার টেবিল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদজাত খাদ্যপণ্য সরবরাহ করতে অনেকগুলো ধাপ পার করতে হয়। এসব কাজ সম্পর্কে আমাদের সকল স্টেক হোল্ডারদের সচেতন হতে হবে।
তিনি আজ স্থানীয় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো) ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) আয়োজিত "'Policy dialogue Workshop on Food Safety and AMR Surveillance for Food of Animal Origin' শীর্ষক কর্মশালা উদ্বোধন কালে এ কথা বলেন। ৩দিন ব্যাপী ওই কর্মশালার আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর ২০২২) পর্যন্ত চলবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব আরো বলেন, আমরা দুধ, ডিম, মাংস উৎপাদনে এগোচ্ছি, তবে এর পরিমাণ আরো বাড়াতে হবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগ না থাকলে এটি কোনভাবেই সম্ভব নয়। সময় এসেছে আরো ব্যাপক পরিসরে আমাদের রপ্তানীতে যাওয়া। আমাদের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন পর্যায়ে এখন পুষ্টি, চিকিৎসা থেকে বহুবিদ বিষয় জড়িত আর এ কারণেই এই কর্মশালা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৩ দিনের এই সেমিনারে স্টেকহোল্ডাররা তাদের বিভিন্ন মূল্যবান মতামত, অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন, সমস্যা ও প্রত্যাশার কথা বলবেন। সে বিষয়গুলো নিয়ে নীতিমালা তৈরি করে আন্তজার্তিক বাজারে আমাদের প্রাণিসম্পদ পণ্যসমূহ রপ্তানিতে আস্থা তৈরি করতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনিডো ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ডা. মো: আইনুল হক। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মনজুর মোহাম্মদ শাহাজাদা। সভাপতিত্ব করেন এলডিডিপি প্রকল্পের পরিচালক জনাব মো. আব্দুর রহিম।
ইউনিডো- এলডিডিপি প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. গ্যাবর মোলনার বাংলাদেশে প্রাণী সম্পদ খাতের বিদ্যমান আইনগুলোর সাথে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চলমান আইনের পার্থক্য, প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা এবং এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন। কিভাবে প্রাণিজাত খাদ্যের গুনগত মান বজায় রেখে সরবরাহ ও বিপণন ব্যবস্থা উন্নত করার মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণের আস্থা অর্জন করা যায় সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত বর্ণনা করেন।
কর্মশালায় আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিশেষজ্ঞগণ এবিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের সাথে দেশীয় কার্যক্রমের সমন্বয় সাধনের বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। সরকারি এবং বেসরকারি খাত, একাডেমিশিয়ান, উদ্যোক্তা সহ প্রায় একশজন এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছেন।