এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, এমপি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পাটচাষি, পাটপণ্যের উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা, পাটজাত পণ্যের ব্যবহারকারীগণ, ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
আজ (১১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুর রউফ, এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, বাংলাদেশ জুট মিলস্ এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেনসহ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে, পাটপণ্যকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে। পাশাপাশি পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করায় কৃষিপণ্যের মত পাটেও সকল আর্থিক সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়াও জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এর মাধ্যমে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করা হবে। বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পাটজাত দ্রব্যাদি রপ্তানি খাতে (৫-২৫ ভাগ) নগদ ভতূর্কি প্রদান করছে।
তিনি বলেন, জেডিপিসির নিবন্ধিত উদ্যোক্তাগণ ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এছাড়াও বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে আরও জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হবে। এছাড়াও পাট ও পাটজাত পণ্যের প্রচারের জন্য বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রাসারণ’ প্রকল্পের আওতায় অল্প জমিতে অধিক পাট উৎপাদন, পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করা, পাটচাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, পাটচাষীকে বিনামূল্যে উফশী জাতের পাটবীজ সার (ইউরিয়া, টিএসপি ও এমপিও) এবং বালাইনাশকসহ কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করছে। এছাড়াও মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুত সময়ে বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না।