এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:মুলা রূপান্তরিত প্রধান মুল/ (Root)। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাসিয়াম রয়েছে যা আমাদের দেহকে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রোধে এটি খুব উপকারী। এই উপকারী মুলা ফটিকছড়িতে 'ভাণ্ডারী বরকতময় মুলা' নামে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। ইতোমধ্যেই প্রতিটির মূলার ওজন পাওয়া গেছে ৭-১৪ কেজি। প্রতিটির দাম ৫০-২০০ টাকা। ভান্ডার শরিফকে ঘিরে জাপানী হাইব্রিড তাসাকিসান মুলা (ভাণ্ডারী মুলা) খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অত্রাঞ্চলে। হালদা নদির পলী ঘেরা বেলি মাটিতে নাজিরহাট পৌরসভার পূর্ব সুয়াবিলের সুন্দরপুরে এই মুলা চাষাবাদ হচ্ছে ব্যাপক ভাবে।
ভান্ডারী মূলার রহস্য জানতে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সামছুর রহমান-এর নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী সোমবার (২৩ জানুয়ারী) মূলা চাষীদের মাঠ পরিদর্শন করেন। প্রাথমিক ভাবে বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন Strong microbes এর ফলে Mineralization এর কারণে আয়নের availability বেশি যার কারণে খাদ্য জমা বেশি হতে পারে। পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদানের কারণেও হতে পারে। রহস্য উদ্ভাবনে গবেষণা প্রয়োজন বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
বিশেষজ্ঞ টিমে আরো ছিলেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জমাল উদ্দিন, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ জুবায়েদ ফেরদৌস, শরিফুন নাহার তৃষা, মোঃ রাশেদ সরকার, আনিকা তাবাসসুম, সায়মা তাহসীন নীরা এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ-উজ-জামান সহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জনাব জহুরুল ইসলাম ও মো. বেলাল উদ্দিন প্রমুখ।